ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে চুরির টাকা ভাগাভাগী নিয়ে যুবক খুন, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত: ২১:২২, ৮ জুন ২০২২

গাজীপুরে চুরির টাকা ভাগাভাগী নিয়ে যুবক খুন, গ্রেপ্তার ৩

চুরির টাকা ভাগাভাগী নিয়ে যুবক খুন

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় গবাদিপশুর খামারের দুধ বিক্রির পর চুরি করা টাকার ভাগ না দেয়ার দ্বন্দ্বে রিয়াজ উদ্দিন নামের এক রাখাল খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তারই তিন সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

নিহত রিয়াজ উদ্দিন (৩৫) উপজেলার জামালপুর হাজীপাড়া এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় ফুলদি এলাকার ছাইফ এগ্রোফার্মের রাখাল হিসেবে চাকরি করতেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আজিজুল হক (২০), ইয়াছিন মিয়া (৩৯) ও মো. আবির (১৬)। তাদের সকলের বাড়ি নরসিংদী এলাকায়। তারা তিনজনই একই ফার্মে রাখাল পদে চাকরি করেন।

পিবিআই গাজীপুর’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন বুধবার জানান, ইয়াসিন মিয়া ফার্মে দুধ বিক্রি থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজকর্ম দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলেন। প্রতিদিন স্থানীয় ফুলদী বাজারে ছাইফ এগ্রোফার্মের দুধ বিক্রি করতেন তিনি। প্রতিদিন দুধ বিক্রির টাকা থেকে ১০০/১৫০ টাকা গোপনে রেখে দিতেন। ইয়াসিন একদিন রিয়াজ উদ্দিনকে নিয়ে দুধ বিক্রি করতে গেলে রিয়াজ উদ্দিন টাকা রেখে দেয়ার বিষয়টি জেনে যান। এরপর রিয়াজও ইয়াসিন মিয়ার চুরি করা টাকার অর্ধেক ভাগ চান।

টাকার ভাগ না দিলে রিয়াজ বিষয়টি ফার্মের মালিককে জানিয়ে দেবে বলে ইয়াসিন মিয়াকে হুমকি দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। পরে রিয়াজকে হত্যার পরিকল্পনা করে কয়েকজন মিলে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৮ জুন বিকেল ৪টার দিকে ইয়াসিন মিয়াসহ কয়েকজন সহকর্মী রিয়াজ উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে খামারের পাশেই বিলের মধ্যে হাঁস আনার জন্য যায়। এ সময় দুইজন সহকর্মী বিলের পাড়ে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। পানিতে নেমে কিছুদূর যাওয়ার পর ইয়াসিন মিয়ার হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে রিয়াজের মাথায় ৩/৪টা আঘাত করলে রিয়াজ উদ্দিন পানিতে ডুবে যায়।

পরে ইয়াসিন তার সহযোগী আজিজুল ও আবিরের কাছে ফার্মে ফিরে গিয়ে ফার্মে থাকা সিকিউরিটি গার্ড ও অন্যান্য লোকদের কাছে প্রচার করে যে রিয়াজ উদ্দিন পানিতে ডুবে গিয়েছে। পরে ইয়াসিন মিয়া ও অন্যান্য লোকজন তল্লাশি চালিয়ে রিয়াজ উদ্দিনকে পানির নিচে থেকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তে মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলে আদালত এ বছরের ১৬ এপ্রিল মামলাটির তদন্তভার দেয় গাজীপুরের পিবিআই’র ওপর। পরে পিবিআই গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।