ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কাশিমপুরে আ.লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ৩ অক্টোবর ২০২২

কাশিমপুরে আ.লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

ফাইল ফটো

গাজীপুরকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত করার পরে এই প্রথম কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রায় দুই দশক পর আগামী মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) কাশিমপুর ফুটবল খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ সম্মেলনকে হচ্ছেন সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে হিসাব নিকাশ চলছে। সম্মেলন কে ঘিরে নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত।পাশাপাশি একে ঘিরে আছে উৎকণ্ঠাও।

ভোট নাকি সিলেকশনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন হবে, এ নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে চলছে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ।

শক্তিশালী দুই সভাপতি প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও মীর আসাদুজ্জামান তুলার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে যখন নেতাকর্মীরা আশান্বিত, ঠিক তখনই আসাদুজ্জামান তুলার  ছন্দপতন। প্রভাবশালী এই প্রার্থী তার প্রার্থীতা থেকে সরে এসে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন। হঠাৎ তার সরে আসায় আনোয়ার হোসেনের সভাপতি পদ প্রায় নিশ্চিত। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই হবে ত্রিমুখী। নির্বাচনের দুই দিন আগে হঠাৎ তার সরে আসায় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও ভোটাররা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, তুলা ভাই হঠাৎ এভাবে সরে আসায় আমরা দ্বিধান্বিত, শুধুমাত্র ৬নং ওয়ার্ডে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য তাদের গোপন সমঝোতা বলে আমার মনে হয়।

এ ব্যাপারে মীর আসাদুজ্জামান তুলা বলেন, আমি আগে থেকেই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম, এখনো আছি। কিছু মহল আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

এ সম্মেলনের ভোটার ও ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ ফকির বলেন, ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। সিলেকশনের মাধ্যমে যদি নেতা নির্বাচন করা হয় তাহলে দলে বিভক্তি দেখা দিতে পারে, যার প্রভাব পড়বে সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে।  

এ কাউন্সিলকে ঘিরে সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক আশরাফুল আলম আসকর এক সংবাদসম্মেলনে দাবী করেন, এ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হলেও আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা সুযোগ রাখা হবে না বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এজন্য আমি শংকিত।

প্রার্থীদের অনেকেই দাবী করেন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হলে কারো কোন আপত্তি থাকবে না। ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে চান অধিকাংশ ভোটার। সিলেকশনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হলে কর্মীদের মূল্যায়ন থাকে না। আমরা চাই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হোক। ত্যাগী এবং জনসমর্থন আছে এমন নেতাদের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করলে সংগঠন শক্তিশালী হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে থানা কমিটির এ নির্বাচনের প্রতি যেন বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয় সেই আশাবাদ সাধারণ নেতাকর্মীদের।