ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ৫ মে ২০২২

গাজীপুর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

গাজীপুরের শ্রীপুরে নারী উদ্যোক্তা, নরওয়ে থেকে ‘বাংলার মালালা’ খেতাবপ্রাপ্ত নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর থানায় ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত শাহীন আলম (৩২) উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের দক্ষিণ ধনুয়া এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী নানা ধরনের কনজ্যুমার পণ্যের ব্যবসা করেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার সাথে ছাত্রলীগ নেতা শাহীনের পরিচয় হয়। গত বছরের ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহীন ওই নারীকে ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে তার ব্যক্তিগত অফিসে নেয়। এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে শাহীন।

পরে এ বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নেন ওই নারী। এতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই নারীর সাথে শাহীনের মৌখিকভাবে বিয়ে পড়ান। পরবর্তীতে কাবিন রেজিস্ট্রির কথা থাকলেও শাহীন কাবিন না করে ওই নারীকে এখানে-সেখানে নিয়ে তার সাথে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করেন।

সম্প্রতি ওই নারী তাকে কাবিন করে বউ হিসেবে ঘরে তুলতে চাপ দিলে শাহীন ওই নারীর সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে গোপনে অন্যত্র বিয়ে করেন ছাত্রলীগ নেতা শাহীন।

বিষয়টি জেনে ভুক্তভোগী বুধবার রাত ১১টার দিকে শাহীনের বাড়িতে যান। বাড়ির লোকজন তাকে গালাগাল করে মারধর করতে উদ্যত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আলমের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী নারী জানান, বাল্যবিয়ে রোধে কাজ করে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে নরওয়ে থেকে মালালা এবং মোম্বে থেকে মাদার তেরেসা পদক লাভ করেন। কিন্তু আমি বিচার পাচ্ছি না । শাহীন তার সাথে বিয়ের নাটক করে ধর্ষণ করেছে। প্রতারণা করেছে। তিনি তার বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহীনের বক্তব্য নিতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযুক্ত শাহীন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি ছিল। অপরাধ করলে তার বিচার হোক। জেলা ছাত্রলীগে কোন অপরাধীর ঠাঁই হবে না।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাজীপুর কথা