ফাইল ছবি
দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। তবে আগামীকাল বুধবার থেকে (১ মে) তাপমাত্রা কমে তাপপ্রবাহের আওতা কমার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে আগামী ৪ থেকে ৫ মে দেশজুড়ে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার ছিল চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়, এটিই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঢাকাতেও ছিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
তিনি আরো জানান, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলা সমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি বাড়তে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমতে পারে এবং কিছু কিছু জায়গা থেকে তা প্রশমিত হতে পারে।
পরবর্তী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা তুলে ধরে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিস্তার লাভ করতে পারে।