ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ২২ এপ্রিল ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

সংগৃহীত ছবি

আমরা প্রত্যাহার করতে মনোনয়নপত্র জমা দেইনি। টিকে থাকতেই এবারের ভোটযুদ্ধে নেমেছি। এতে দল থেকে বহিষ্কার করলেও আমাদের আপত্তি থাকবে না।

দ্বাদশ সংসদের মতোই উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির। যদিও স্থানীয় সরকারের এ ভোটে অংশ নিতে প্রস্তুত দলটির একাংশ। আরেকাংশ ঠিকই মানতে চায় কেন্দ্রের নির্দেশ। তৃণমূলের এমন মত-অমত নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রকাশ্য বিদ্রোহ। এর প্রভাব রয়েছে শীর্ষ পর্যায়েও। ফলে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে এসব সংকট সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম।

তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ৮ মে। সেই হিসেবে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির শতাধিক নেতা। অনেকে প্রচার-প্রচারণায়ও নেমেছেন। এর মধ্যেই গেল ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বর্জনের কথা জানায় হাইকমান্ড। একই সঙ্গে নেতাদের ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়। তবে দলের নির্দেশ মানতে নারাজ প্রার্থীরা। এ ধরনের সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী আর অমর্যাদাকর বলেও আখ্যা দিয়েছেন কেউ কেউ।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা একাধিক নেতা বলছেন, আমরা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি না। নিজ উদ্যোগেই অংশ নিয়েছি। এজন্য চাইলেই কেন্দ্রীয় নেতারা বাধা দিতে পারেন না। এছাড়া হাইকমান্ডের কোনো নির্দেশনাও থাকা উচিত নয়। কারণ আমরা প্রত্যাহার করতে মনোনয়নপত্র জমা দেইনি। টিকে থাকতেই এবারের ভোটযুদ্ধে নেমেছি। এতে দল থেকে বহিষ্কার করলেও আমাদের আপত্তি থাকবে না।

সমালোচকরা বলছে, কোনো ধরনের বিচার-বিবেচনা ছাড়াই উপজেলা নির্বাচন নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্তে এগোচ্ছে বিএনপি। এমনিতেই দলটির নাজুক পরিস্থিতি। ঠিক এই মুহূর্তে নীতিনির্ধারকদের উচিত ছিল স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের নির্বাচনে দাঁড়ানোর উৎসাহ দেয়া। অথচ তারা ভিন্ন চিন্তা নিয়ে হাঁটছেন। এমনকি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও কথা ভাবছেন। তবে নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির জন্যই ভালো হবে। নয়তো মাঠপর্যায়ে দ্বন্দ্ব বা বিদ্রোহ আরও বাড়তে থাকবে বলেও মনে করছেন তারা।