ঢাকা,  শনিবার  ২৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

চোখের লালচে দাগ হতে পারে যে কঠিন রোগের লক্ষণ

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ১৯ আগস্ট ২০২২

চোখের লালচে দাগ হতে পারে যে কঠিন রোগের লক্ষণ

চোখের লালচে দাগ হতে পারে যে কঠিন রোগের লক্ষণ

চোখের বিভিন্ন সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তার মধ্যে চোখের লালচেভাব অন্যতম। অ্যালার্জি, চোখের শুষ্কতা কিংবা কোনো কিছু আকস্মিক চোখে গেলে চুলকানি ও চোখ লাল হয়ে যেতে পারে।

তবে হঠাৎ করেই চোখের ভেতর ছোট লাল দাগ দেখলে অবশ্যই সাবধান হতে হবে সবাইকে। কারণ এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ হিসেবে চোখে লালচে দাগ দেখা দিতে পারে। যদিও অনেকেই বিষয়টি অবহেলা করেন। আসলে এটি কিন্তু সাধারণ নয় বরং উচ্চ রক্তচাপের গুরুতর লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত।

দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভুগলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপর চাপ সৃষ্টি করে এমনকি হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে চোখের লাল দাগের সম্পর্ক কোথায়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের লাল দাগ উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে। এর পেছনের কারণ হলো রক্তনালিগুলো ছিঁড়ে যাওয়া। উচ্চ রক্তচাপের কারণেও দৃষ্টিশক্তির জটিলতা দেখা দিতে পারে।

এ সমস্যার কারণে হতে পারে হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি। ফলে চোখের রক্তনালির দেওয়াল ঘন হয়ে যায় ও রক্ত প্রবাহকে সীমাবদ্ধ করে। এমনকি রেটিনাও ফুলে যেতে পারে ও রক্তনালিগুলো ফুটো হয়ে যায়।

উচ্চ রক্তচাপের অন্যান্য লক্ষণ কী কী?

>> বুক ব্যথা
>> শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
>> প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত
>> বুকে, ঘাড়ে বা কানে ব্যথার
>> তীব্র মাথাব্যথা
>> নাক দিয়ে রক্ত পড়া
>> ক্লান্তি ইত্যাদি।

রক্তচাপের সঠিক মাত্রা কত?

রক্তচাপ দুটি সংখ্যা দ্বারা পরিমাপ করা হয় - সিস্টোলিক চাপ, যা উচ্চ সংখ্যা ও ডায়াস্টোলিক চাপ, যা নিম্ন সংখ্যা। যখন আপনার রিডিং ১৪০/৯০ মিলিমিটার পারদ বা তার বেশি হয় তখন তা উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে বিবচিত হয়।

অথবা যদি আপনার বয়স ৮০ বছরের বেশি হয়, তাহলে ১৫০/৯০ এমএমএইচজি বা তার বেশি হলে তা উচ্চ রক্তচাপের গুরুতর অবস্থা বলে বিবেচিত হয়।

সবার সুস্থতার জন্য আদর্শ রক্তচাপ সাধারণত ৯০/৬০-১২০/৮০ এমএমএইচজি এর মধ্যেই রাখা উচিত। উচ্চ রক্তচাপ সন্দেহ করলে নিয়মিত রক্তচাপের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন ও আদর্শ পরিসরে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে করণীয়

>> লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন
>> স্বাস্থ্যকর খাবার খান
>> অ্যালকোহল সেবন বন্ধ করুন
>> অতিরক্ত ওজন হলে তা কমান
>> প্রতিদিন ব্যায়াম করুন
>> ক্যাফেইন কম গ্রহণ করুন ও
>> ধুমপান ছাড়ুন।