ঢাকা,  সোমবার  ১৭ জুন ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

চোখ ভালো রাখবে যেসব খাবার

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ২৫ মে ২০২৪

চোখ ভালো রাখবে যেসব খাবার

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্বে মানুষের চোখের সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হলো আমরা সবসময় কোনো না কোনো গ্যাজেটের সঙ্গে আঠালো ভাবে লেগে থাকি বা নজর রাখি। অথচ মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো চোখ। তাই আমাদের উচিত চোখের প্রতি অনেক বেশি খেয়াল রাখা।

কিন্তু দেখা যায় যে, চোখের খেয়াল আমরা অনেকেই রাখি না। তাছাড়া প্রতিটি বয়সের মানুষেরই চোখের সমস্যা রয়েছে। তার ওপর দিন দিন বাড়ছে মোবাইল, ল্যাপটপের ব্যবহার। দিনে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে কাজ করতে হচ্ছে অনেককেই। সেই সঙ্গে ওটিটিতে সিনেমা দেখা তো আছেই। এসবের কারণে স্বাভাবিকভাবেই দিন দিন চোখের সমস্যা বাড়ছে।

চোখের সমস্যা সমাধানের জন্য আসুন আমরা জেনে নেই, যেসব খাবারে চোখের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টির উৎস এবং আমাদের চোখ সুস্থ রাখতে সেসবের ভূমিকা।

বাদাম এবং শুকনো ফল: বাদাম, এপ্রিকট, কাজু বাদাম ইত্যাদি বাদাম খাওয়া চোখের জন্য ভালো। এগুলো ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা প্রতিরোধে সাহায্য করে ছানি এবং বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয়।

মাছ: চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জুড়ি মেলা ভার। শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ থেকে। তাই তো সার্ডিন, স্যামন কিংবা খান টুনা। এই ধরনের মাছের তেল চোখের জন্য খুবই উপকারী।

পালং শাক : পালং শাক রিবোফ্লাভিন এবং থায়ামিনের পাশাপাশি লুটেইন, বিটা ক্যারোটিন, ক্লোরোফিলিন এবং জ্যান্থিনের মতো রঙ্গকগুলোর একটি সমৃদ্ধ উৎস। তাই পালং শাক সুস্থ চোখ, কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম এবং স্নায়ুতন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খুব ভালো। পালং শাকের বিটা-ক্যারোটিন এবং লুটেইন চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং চোখ চুলকানোসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। লুটেইন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে। Lutein এবং Xanthene এছাড়াও বার্ধক্যজনিত কারণে ম্যাকুলার অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ডিম: ভিটামিন এ রয়েছে ডিমেও। সেই সঙ্গে জিঙ্ক এবং লুটিনের মতো উপকারী উপাদানেরও সন্ধান পাওয়া যায় ডিমে। জিঙ্ক আমাদের চোখের সাদা অংশের দেখভাল করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ডিমের কুসুম খেলেও ভালো থাকবে চোখ।

কমলালেবু: কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন আলফা ক্যারোটিন, বিটা-ক্যারোটিন, বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন, জিক্সানথিন, ফাইবার, ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস এবং লুটেইন। এই সমস্ত ফাইটো-কেমিক্যাল চোখ এবং চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো।

পেঁপে: ভিটামিন এ, সি এবং ই এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে পেঁপে আপনার চোখের জন্য ভালো। এতে ক্যারোটিনয়েড, লুটেইন এবং জিক্সানথিন রয়েছে যা উচ্চ শক্তির নীল আলো থেকে সুরক্ষা দেয়। এবং ছানি, গ্লুকোমা এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী চোখের রোগের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেয়।

গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটাক্যারোটিন থাকে, যা লিভারে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এই ভিটামিন সরাসরি দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর কাজে সাহায্য করে। এমনকি চোখের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন আটকানোর কাজেও গাজরের জুড়ি মেলা ভার। সেই কারণেই গাজর বা গাজরের জুস খেলে বয়সজনিত চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া গাজরের পানীয়ে উপস্থিত লিউটিন ও জিয়াজ্যান্থিন ক্ষতিকর আলোর প্রভাব থেকে চোখকে রক্ষা করতে পারে। তাই যারা সারাক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন, তারা নিয়মিত গাজরের জুস খেতেই পারেন। এতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।