ছবি: সংগৃহীত
কাঁকরোল ( Sweet Gourd) এটি একটি লতানো বর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Momordica। এটি Cucurbitaceae গোএের অন্তভূক্ত।
ছোট কাঁঠালের মতো দেখতে বাংলাদেশে কাঁকরোল একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি গ্রীষ্মকালে চাষ করা হয়। এদের স্ত্রী পুরুষ ফুল আলাদা গাছে জন্মে। কাঁকরোল গাছ কন্দমূল উৎপন্ন করে যায় সাহায্যে মূলত বংশবিস্তার করে।
কাঁকরোল বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়। কাঁচা কাঁকরোল তরকারী, ভাজি বা সিদ্ধ করে ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়। কাঁকরোল প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, লৌহ ক্যারোটিন আছে। দোঁআশ থেকে এটেল দোঁ-আঁশ মাটি কাঁকরোল চাষের জন্য উত্তম। কাঁকরোলের বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে। যেমন- আসামী, মণিপুরী, মুকন্দপুরী মধুপুরী ইত্যাদি।
এপ্রিল থেকে মধ্য জুন মাসে কাঁকরোলের বীজ বপন করা হয়ে থাকে। জুলাই হতে মধ্য সেপ্টেম্বর মাস কাঁকরোল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। কাকরোলের বীজ কাকরোল গাছের নিচে হয়ে থাকে যা দেখতে মিষ্টি আলুর মতো।
কাকরোল একটি জনপ্রিয় সবজি ৷ কাঁকরোল বাংলাদেশ ও ভারতে চাষ করা হয়ে থাকে। কাঁকরোলে রয়েছে নানান ঔষধি গুণ।
রাসায়নিক উপাদান
কাঁকরোলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, ক্যারোটিন, আমিষ, ভিটামিন-বি, শ্বেতসার ও খনিজ পদার্থ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে৷ যা মানুষের দৈহিক গঠনে এটি খুবই দরকারী। এছাড়াও রয়েছে ফাইবার, মিনারেল, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
উপকারিতা
১। শ্বাসকষ্ট হলে কাঁকরোলের শেকড় বাটার সঙ্গে আদার রস ও মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২। কাঁকরোল বাটা এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে কিডনির পাথর দ্রুত সেরে যায়।
৩। কাঁকরোলে রয়েছে ফাইবার। তাই কাঁকরোল খেলে হজমে সাহায্য করে।
৪। কাঁকরোলে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ¬যা শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৫। কাঁকরোল বাটার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে পাইলস দ্রুত নিরাময় হয়।
৬। কাশি হলে কাঁকরোল বাটা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
৭। কাঁকরোল পাতার রস সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে পান করলে জ্বর ভালো হয়।
৮। কাঁকরোলে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, লিউটেইন, যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।