ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে নারীকে গলাকেটে হত্যা, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুরে নারীকে গলাকেটে হত্যা, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ২

সংগৃহিত ছবি

পারিবারিক কলহের জেরে গাজীপুরের শ্রীপুরে আজিদা বেগম (৩৮) নামে এক নারীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার কুমিল্লা ও গাজীপুরের পৃথক স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

আজ মঙ্গলবার র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– প্রধান আসামি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানার উনমান্দি গ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে মো. ইদ্রিস মিয়া (৫৫) ও তাঁর সহযোগী একই জেলার সদর থানার জামাদি গ্রামের আরশ আলীর ছেলে রহমত আলী (৫৫)।

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত রোববার শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের বাবুলের ভাড়া বাড়ির টিনের ঘর থেকে ভুক্তভোগী আজিদা বেগমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মোস্তফা বাদী হয়ে থানায় একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-১ এর একটি দল তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি ইদ্রিস মিয়াকে কুমিল্লা জেলার বলেশ্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জয়দেবপুর থানার রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সহযোগী রহমত আলীকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

এদিকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসামিরা জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, আট বছর আগে ইদ্রিস মিয়া এবং আজিদা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তাঁদের মধ্যে পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জের ধরে প্রতিনিয়ত ঝগড়া-বিবাদ হতো। এর জেরে ইদ্রিস মিয়া ভুক্তভোগীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত শনিবার রাতে ইদ্রিস মিয়া ও সহযোগী আসামি রহমত আলী ভুক্তভোগী আজিদা বেগমের ঘরে ঢোকেন। একপর্যায়ে আজিদা বেগমকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরি দিয়ে গলাকাটা ও সহযোগী আসামি মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যান।