ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২১ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতনের ভয়ংকর তথ্য ফাঁস

প্রকাশিত: ২২:০৮, ১০ মে ২০২৪

ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতনের ভয়ংকর তথ্য ফাঁস

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকা থেকে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ধরে নিয়ে ও বন্দি করে ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের কাছে এসব তথ্য ফাঁস করেছেন দুই ইসরায়েলি হুঁইসেলব্লোয়ার।

শুক্রবার (১০ মে) প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের দু’জন ইসরায়েলি এবং একজন ফিলিস্তিনি বন্দি জানিয়েছেন, গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে ধরে ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমির একটি বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাদের ব্যাপক মারধর ও অন্যান্য শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এক ইসরায়েলি বলেছেন, ‘কোনো গোপন তথ্য বের করার জন্য মারধর করা হয়নি। তাদের মারধর করা হয়েছে প্রতিশোধ নিতে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জন্য এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দিশালায় কিছু করলেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’

অপর এক ইসরায়েলি তেইমানের একটি কারাগারের ছবি সিএনএনকে দিয়েছেন। এ এলাকাটি গাজা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ছবিতে দেখা যায়, লোহার তারের বেড়া দেওয়া একটি খাঁচায় কয়েকশ ফিলিস্তিনি রয়েছেন। তাদের সকলের পরনে ধূসর রঙের ট্রাউজার রয়েছে।

কারাগারে বন্দি থাকা এক ফিলিস্তিনি চিকিৎসক সিএনএনকে বলেন, তেইমানের বন্দিশালায় প্রায়ই ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর কুকুর ছেড়ে দেওয়া হতো। রাতের বেলা এভাবে নির্যাতন করা হতো।

গাজার ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার মোহাম্মদ আল রানকে আটক করে ইসরায়েলি সেনারা। তবে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি দেখা দেয়।

বন্দিরা জানান, তাদের একটি অস্থায়ী হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাদের শরীরের সব জামাকাপড় খুলে নেয়া হয়। এ সময় তাদের কেবল ডায়পার পরিয়ে রাখা হয়। এছাড়া ছোট পাইপের মাধ্যমে তাদের সেখানে খাবার সরবরাহ করা হয়। এমনকি হাসপাতালে বেডের সঙ্গে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আটকে রাখা হয়।

বন্দিদের অনেকে তাদের হাতে হ্যান্ডকাফের কারণে সৃষ্ট ক্ষতচিহ্ন দেখিয়েছেন। এছাড়া হ্যান্ডকাফ পরার কারণে অনেকের হাতে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কয়েকজনের হাতও কেটে ফেলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।