নিহত রজার ফোর্টসন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে মার্কিন বিমানবাহিনীর এক কৃষ্ণাঙ্গ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। বুধবার নিহত ঐ কর্মকর্তার পরিবারের একজন আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ অপরিচিত একটি নম্বর থেকে বারবার ফোন পেয়ে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি অ্যাপার্টমেন্টে যায়। তবে ভুলে তারা ঐ কৃষ্ণাঙ্গ কর্মকর্তার ইউনিটে ঢুকে পড়ে আর তার হাতে একটি বন্দুক দেখতে পায়। এরপরই তারা ঐ বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।
নিহত বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার নাম রজার ফোর্টসন। ২৩ বছর বয়সী ফোর্টসন হার্লবার্ট ফিল্ডের বিশেষ অপারেশন শাখায় ছিলেন। শুক্রবার যখন তাকে গুলি করা হয় তখন তিনি ফোর্ট ওয়ালটন বিচে তার অফ-বেস অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন।
এক বিবৃতিতে নাগরিক অধিকার বিষয়ক আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেছেন, মার্কিন পুলিশ যখন ফোর্টসনকে হত্যা করে তখন তিনি এক নারীর সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলছিলেন।
ঐ নারী বলেন, ফোর্টসন যখন তার দরজায় ঠকঠক শব্দ শুনতে পান তখন তিনি অ্যাপার্টমেন্টে একা ছিলেন। তিনি জানতে চান বাইরে কে? কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। এর কয়েক মিনিট পরে, ফোর্টসন জোরে ধাক্কা দেওয়ার শব্দ শুনতে পান। এমনকি দরজায় পিপহোলে তাকিয়েও কাউকে দেখতে পাননি।
তিনি আরো বলেন, ফোর্টসন উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তিনি বন্দুক নিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন। ফোর্টসন আইনত ঐ বন্দুকের মালিক ছিলেন বলেও জানান আইনজীবী।
ক্রাম্পের বিবৃতি অনুসারে, ফোর্টসন তার বসার ঘরে ফিরে যাওয়ার সময় ডেপুটিরা দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বন্দুক হাতে দেখে ৬টি গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ফোর্টসন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বলেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ফোর্টসন একটি হাসপাতালে মারা যান। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।
