সংগৃহিত ছবি
গাজীপুরের শ্রীপুরে তালাবদ্ধ একটি ঘর থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন ঘরের তালা ভেঙে ঘরের মেঝে থেকে আজিদা বেগম (৩৮) নামে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। এ সময় মরদেহের পাশে পড়েছিল রক্তাক্ত ধারালো বটি দা। পরে সেখান থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিহতের স্বজনদের ধারণা, তার স্বামীই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়েছেন।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকবর আলী খান। এর আগে এদিন সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রাম থেকে ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আজিদা বেগম নেত্রকোনা জেলায় কলমাকান্দা উপজেলা হাইলাটি গ্রামের রুমালী হোসেনের কন্যা। তিনি স্থানীয় জৈনা বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি হোটেলে কাজ করতেন। তবে অভিযুক্ত স্বামীর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ওসি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ভাড়া বাসা থেকে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত শুক্রবার কোনো এক সময় ধারালো বটি দা দিয়ে অভিযুক্ত স্বামী তার স্ত্রীর গলা কেটে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। তবে বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত স্বামীর নাম পরিচয় দিতে পারেনি। অভিযুক্ত স্বামীর নাম পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে ধস্তাধস্তির কারণে তার এক হাতের রগ কেটে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত স্বামীর পরিচয় শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
বাড়ির মালিক বাবুল খান বলেন, গত নয় মাস যাবৎ আমার বাড়ির একটি টিনশেড রুম ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী ভাড়া থাকতেন। স্ত্রী আজিদা ৯ মাস যাবৎ থাকতেন। আর তার স্বামী থাকেন ৩ মাস যাবৎ। স্ত্রী নিয়মিত থাকলেও স্বামী মাঝেমধ্যে বাসায় থাকতেন। স্ত্রীর নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও স্বামীর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আমি তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করি তিনি কি কাজ করেন? কোথায় কাজ করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানাতেন সে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় কাজ করতেন। গত শুক্রবার থেকে ঘর তালাবদ্ধ। আজ সকাল থেকে তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ঘরের তালা ভেঙে গলাকাটা মরদেহ দেখতে পাই। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
