ঢাকা,  শুক্রবার  ০৩ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রয়োজন লক্ষাধিক মানুষের, আছে স্বল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রয়োজন লক্ষাধিক মানুষের, আছে স্বল্প

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে বছরের যেকোনো সময়ে লক্ষাধিক মানুষের প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রয়োজন হয়, তবে সেই অনুপাতে সারাদেশে বিক্ষিপ্তভাবে মাত্র অল্প কিছু স্থানে এই সেবার প্রচলন আছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপীই প্যালিয়েটিভ কেয়ারের চাহিদার ১২ শতাংশেরও কম মেটানো সম্ভব হয়।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ তথ্য জানান।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার একটি নাগরিক অধিকার। আমার বা আপনার যে কারোর যেকোনো সময় এই সেবার প্রয়োজন হতে পারে। নিরাময় অযোগ্য রোগীর ক্ষেত্রে রোগী এবং তার পরিবারের দৈনন্দিন কষ্টগুলোকে কমিয়ে আনা ও জীবনের মান উন্নয়নে সহয়তা করাই এই সেবার মূল উদ্দেশ্য। প্যালিয়েটিভ কেয়ার মৃত্যুকে তরান্বিত বা দেরি করায় না, বরং মৃত্যুকালীন ভোগান্তি লাঘবে চেষ্টা করে।

গ্লোবাল অ্যাটলাস অফ প্যালিয়েটিভ কেয়ার ২০২০ অনুসারে, প্রতি বছর ৫৬.৮ মিলিয়নেরও বেশি লোকের প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজন অনুমান করা হয়েছে। সারাবিশ্বের এই চাহিদার ১০ শতাংশেরও কম পূরণ করা সম্ভব হয়। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই সেবা এখনো অনুকূলে নয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউয়ের প্যালিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমদ। সভাপতিত্ব বিএসএমএমইউয়ের প্যালিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম মতিউর রহমান ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, সহানুভূতি ও মমতার সঙ্গে মুমুর্ষু রোগীর সেবাদানই প্যালিয়েটিভ কেয়ারের মুখ্য উদ্দেশ্য। নানান সীমবদ্ধতার মাঝেও বিএসএমএমইউয়ের প্যালিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগ বিশ্বমানের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান প্রশাসন প্রতিটি সংকট নিরসনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুবন্ধে (৬৭.১৯) প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে অন্তর্ভুক্তকরণের সুপারিশ করা হয়েছে, যার অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৩.৮ এ উল্লিখিত সর্বজনীন পরিধি স্বজনের অন্যতম প্রধান অংশ এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার।

আরও বলা হয়, বিএসএমএমইউয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ ২০০৭ সাল থেকে এ সেবা দিয়ে আসছে। বহিঃবিভাগ, অন্তঃবিভাগ, দিবা সেবা, রেজিস্টার্ড রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা টেলিফোন সার্ভিস এবং বিনামূল্যে গৃহ সেবাদানসহ করাইল ও নারায়ণগঞ্জে কমিউনিটি লেভেলে জনসাধারণের মাঝে এই সেবা নিশ্চিত করে আসছে এই বিভাগ। এছাড়া, এই বিভাগের পক্ষ থেকে ডাক্তার, নার্স, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সহকারী (পিসিএ) ও স্বেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি রোগীর পরিবার বা পরিচর্যাকারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।