ফাইল ছবি
বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এমআরসিপি ফেইজ (ইউকে) পরীক্ষা এখন থেকে বাংলাদেশেই নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় এমআরসিপি পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রায় ১০০০ জন প্রার্থী বর্তমানে অপেক্ষমাণ আছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশে এমআরসিপি (ইউকে) পার্ট-টু ফেইজ পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসকরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করলেও সুযোগ প্রায় খুবই কম। বর্তমানে বাংলাদেশের নিকটবর্তী দেশ হিসেবে ভারত ও সিঙ্গাপুরে এই পরীক্ষাটিতে অংশ নেওয়া যায়। এছাড়া বাংলাদেশের কাছাকাছি অন্যান্য দেশ কুয়েত, ওমান, কাতার, মিশর, মালয়েশিয়ায় এমআরসিপি ফেইজ পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলোতে অংশ নেওয়া যায়। কিন্তু এসব দেশে পরীক্ষা যেমন ব্যয়বহুল তেমনি অংশ নেওয়া কঠিন। এজন্য দেশে এই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করায় দেশের চিকিৎসকদের অনেক সুবিধা হবে।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আর্থিক ব্যয় প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রতি প্রার্থীকে ২-৩ লাখ টাকা করে ব্যয় করতে হয়। বাংলাদেশে এটি আয়োজন করা গেলে দেশের প্রার্থীদের পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।
সভায় মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান অব এডিনবার্গের ওভারসিস আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম।