হাজার হাজার কাক। গাছ, বাঁশঝাড় আর মাটিতে। যেদিকে চোখ যায় কাক আর কাক। তাই এলাকার লোকজন এলাকাটিকে কাকের বাড়ি বলে চেনে। ভোরে ও সন্ধ্যার আগে এই কাকের বাড়ি দেখতে লোকজন আসেন শহর ও শহরের বাইরে থেকে।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কাঙ্গালপাড়ার গাছ ও বাঁশঝাড় পুরো কাকের বাড়ি। এলাকার অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুল ইসলাম (৬৫) বলেন, বহু বছর ধরে কাকেরা এখানে নিরাপদে বসবাস করছে। খুব ভোরে এসব কাক খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে যায়, আর ফিরে আসে সন্ধ্যার আগে ঝাঁকে ঝাঁকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাটি কাকের নিরাপদ ও অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সৈয়দপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় সামাজিক সংগঠন সেতুবন্ধন সেখানে সভা-সমাবেশ করে মানুষকে সচেতন করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে। এলাকার যুবক এম এ মোমেন জানান, কেউ ইচ্ছে করে কাকের বাসায় ঢিল মারে না। তবে এই কাকের কারণে এখানকার ফসলের কিছুটা হলেও ক্ষতি হচ্ছে।
সন্ধ্যার আগে যখন কাকেরা ফিরে আসে সে এক দেখার মতো দৃশ্য। কালো কুচকুচে এসব কাক ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে পছন্দ করে বলে এই জায়গাটিতে নিরাপদ বাসস্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। এদের একতাও দেখার মতো। একটি কাক আহত হলে বা কেউ ধরতে চাইলে সবাই সম্মিলিতভাবে আক্রমণ করে।
গাজীপুর কথা