ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

অধিক ফসলের জন্য চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা ধানবীজ ফলানোর চেষ্টা চীনের

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৩ জুলাই ২০২১

অধিক ফসলের জন্য চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা ধানবীজ ফলানোর চেষ্টা চীনের

খাদ্য সংকট মেটাতে অভিনব পদক্ষেপ চিনের। অধিক ফসল ফলানোর জন্য চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে আসা ধানের বীজ থেকে ফসল ফলানোর চেষ্টা করছে এই দেশ।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করেছিল চিনের চন্দ্রযান চ্যাং-৫। ২৩ দিনে ধরে চলেছিল এই চন্দ্র অভিযান। চ্যাং-৫-এ রাখা হয়েছিল ৪০ গ্রাম ধান বীজ। প্রাথমিকভাবে মহাকাশে ভারহীন অবস্থায় এই ধানগুলির উপর কী প্রভাব পড়ে তা খতিয়ে দেখতেই অনুসন্ধান চালিয়েছিল গুয়াংডং প্রদেশের সাউথ চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি।

এই ধানচারাগুলি থেকে বর্তমানে ধান উৎপাদন করা হচ্ছে। মহাকাশ থেকে ফেরা এই ধানবীজগুলি রোপণ করার পর বর্তমানে সেগুলির উচ্চতা ১, জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট গবেষণাকেন্দ্রের ডেপুটি ডিরেক্টর গুও তাও। গবেষণার পর এই ধানের বীজ মাঠেও চাষের জন্য রোপণ করা হবে। এই বীজগুলি থেকে ধান উৎপাদন অনেক বাড়বে বলে আশাবাদী গবেষকরা।

এই প্রথমবার নয়, এরআগেও মহাকাশে বিভিন্ন ফসলের বীজ পাঠিয়েছে চিন। ১৯৮৭ সাল থেকে এই অভিযান চালাচ্ছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এরআগে তুলো এবং টম্যাটোর চারা দিয়ে এই গবেষণা চালিয়েছিল চিন। চ্যাং ৪ চিনা ল্যান্ডারে করে চাঁদে পাঠানো হয়েছিল তুলো, আলু, ইস্টের বীজ। উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সালোকসংশ্লেষ চাঁদে হয় কিনা তা দেখতে চেয়েছিলেন গবেষকরা। সেই সময় কৃত্তিমভাবে এই বীজগুলির উপর মহাকাশেই ছেটানো হচ্ছিল জল। জানা গিয়েছিল তুলোর বীজ ফেটে সেই সময় বেরিয়ে এসেছিল রাশি রাশি তুলো। এখনও পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি প্রজাতির বীজ মহাকাশে পাঠিয়েছে চিন।

এবার পালা ছিল ধান বীজের। মহাকাশে ভারহীন অবস্থায় কিভাবে মিউটেশন হচ্ছে এই বীজগুলির তা দেখার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, মহাকাশে বীজের চরিত্র বদল হয় এবং তা পৃথিবীতে রোপণ করলে ভালো হয় ফসলও। এই ধানগুলিকেই বলা হচ্ছে স্পেস রাইস। খাদ্য সংকট মেটাতে এই স্পেস রাইসগুলি ব্যবহার করা হবে। জানা গিয়ে, আর ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে এই চাল বাজারে আসতে পারে।

গাজীপুর কথা