ঢাকা,  বুধবার  ২২ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাইটেক পার্কের এমওইউ স্বাক্ষর

প্রকাশিত: ১২:১৯, ১ মে ২০২৪

১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাইটেক পার্কের এমওইউ স্বাক্ষর

ফাইল ছবি

ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব থেকে আগামী দিনে ইউনিকর্ন স্টার্টআপ বের হয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিএইচটিপিএ এর সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব স্থাপনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। 

তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধার চর্চা হচ্ছে। সেখানে গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের স্টার্টআপ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব গড়ে তুলছি। এসব হাবে শিক্ষার্থীদের আইডিয়া বিকশিত করতে যাবতীয় সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক উদ্ভাবন ও স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশে ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব গড়ে তুলতে কাজ করছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ)। এজন্য ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বিএইচটিপি-এর ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন (ডিড) প্রকল্প। ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান এবং নির্বাচিত ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। 

অনুষ্ঠানে ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণালব্ধ জ্ঞানের বাস্তবিক প্রয়োগে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার সংযোগ স্থাপনে বড় ভূমিকা রাখবে ইনোভেশন হাব। ইনোভেশন হাবের মাধ্যমে যেসব সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে তাতে এখান থেকেই ফেসবুক-গুগলের মতো বড় বড় প্রোডাক্ট-প্রতিষ্ঠান বেরিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি। 

তিনি বলেন, একজন তরুণ শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা তার পুরো যাত্রাপথটি কীভাবে পাড়ি দেবে সে ব্যাপারে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। স্টার্টআপদের আইডিয়েশন থেকে কমার্শিয়ালাইজেশন পর্যন্ত সহায়তা করেছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও বিশ্বব্যাংক।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব স্থাপন করা হচ্ছে, সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। 

যে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এরই মধ্যে ইনোভেশন হাব স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাব তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নির্বাচিত অবশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর্যায়ক্রমে হাব তৈরি করা হবে।

ডিড প্রকল্পের ইনোভেশন ও কমার্শিয়াল স্পেশালিস্ট এ এন এম সফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাবে মেধাবী শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হয়ে এবং স্টার্টআপ স্কেলআপ কর্মসূচির মাধ্যমে বিকশিত হয়ে একেকজন স্টার্টআপ যাতে ইউনিকর্ন হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা দেশে একটি ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়তে চাই। যেসব তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করবেন তাদের জন্য স্কেলআপ কার্যক্রম রয়েছে, যেখানে প্রশিক্ষণ, মেন্টরিং, সিড ফান্ডসহ নানা সুবিধা দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডিড প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক প্রমুখ।