সুনামগঞ্জের দোয়রাবাজারের দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত মনির মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে দুই ধর্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ঐ ছাত্রীর বাবা।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ঐ ছাত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঐ স্কুলছাত্রীর সঙ্গে মাসুক মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য তাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। পালিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঐ ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে হাবিব। পরে রাতে তার বোন-জামাই জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের মনির মিয়া ও তার মামাত ভাই কস্তারগাঁও গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর ছেলে রফিক মিয়া ধানের জমিতে জোর করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। পরে ঐ ছাত্রী তার বাবাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার মনির মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মনির মিয়া নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। জবানবন্দি প্রদানের জন্য ওই ছাত্রী আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর কথা