ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

১২ হাজার রিকশা-ভ্যান শ্রমিক নিয়ে এমপির মধ্যাহ্নভোজ

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২৯ জুলাই ২০২৩

১২ হাজার রিকশা-ভ্যান শ্রমিক নিয়ে এমপির মধ্যাহ্নভোজ

সংগৃহিত ছবি

রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজ মাঠে ১২ হাজার ভ্যান ও রিকশা শ্রমিকদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। ১০০ বস্তা চাল ও ৮০ মণ মহিষের গোশত দিয়ে এ আয়োজন করা হয়। রান্নায় ১৪৫ জন বাবুর্চি অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এই খাবারের আয়োজন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম।

১২ হাজার শ্রমিকের সঙ্গে বসে দুপুরের খাবার খান তিনি। খাওয়া শেষে প্রত্যেকের মাঝে ১টি করে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। সংসদ সদস্যের এমন আতিথেয়তায় খুশি ভ্যান-রিকশা শ্রমিকরা।

পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য খোদেজা নাসরিন আক্তার চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রেজাউল হক রেজা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফকরুজ্জামান মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল আজম মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক অসীম কুমার পালসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব মন্ডল।

শ্রমিকরা বলেন, এমপির আতিথেয়তায় আমরা খুশি। তিনি আজকে আমাদের জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছেন। প্রত্যেককে ১টি করে গাছের চারা দিয়েছেন। এমন আয়োজন আজ পর্যন্ত কেউ করেনি। এমপির এমন ব্যতিক্রম আয়োজনে আমরা মুগ্ধ।

সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি সম্মান জানাতে এমন আয়োজন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশে যত উন্নয়ন হয়েছে সেই উন্নয়ন সম্পর্কে এই রিকশা-ভ্যান শ্রমিকদের অবহিত করার জন্যই আমরা এই প্রোগ্রাম টা করেছি। এই সরকারের আমলে শ্রমিকরা যতটা ভালো আছে বিএনপি সরকারের আমলে তারা ততটাই কষ্টে ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন হয়েছে। তাই আজকে তাদের জন্য আমরা এক বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছি। তাদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করেছি। ভবিষ্যতে অন্য পেশাজীবীদের নিয়ে এমন আয়োজন করা হবে।