ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ঈদের রাতে নিরাপত্তাকর্মীকে বেঁধে অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ৩০ জুন ২০২৩

ঈদের রাতে নিরাপত্তাকর্মীকে বেঁধে অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট

ফাইল ছবি

শরীয়তপুর শহরের ইতালি প্লাজার একটি বিপণিবিতানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাধা দেওয়ায় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী আব্দুর রউফকে হাত-পা বেঁধে লোহা ও রড দিয়ে পিটিয়ে অচেতন করে ফেলে রাখা হয়।

শুক্রবার (৩০ জুন) ভোর পৌনে ৪টার দিকে শহরের রূপনগর এলাকার ইতালি প্লাজার বিজলী ক্যাবলসের বিক্রয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাত চক্রের সদস্যরা অন্তত ৫০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে দাবি করছেন বিজলী ক্যাবলস কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী ও সিসিটিভি ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, ভোর ৪টা ৪১ মিনিটে দুইটি পিকআপ নিয়ে ইতালি প্লাজার প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। ভবনের ভেতরে থাকা বিজলী ক্যাবলসের তালা ভেঙে মালামাল তুলে নেওয়ার সময় টের পেয়ে পরিচয় জানতে চান পাশে থাকা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী আব্দুর রউফ। এ সময় পেছন থেকে চক্রের এক সদস্য লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। পরে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে চেতনানাশক দ্রব্য দিয়ে অচেতন করে গাড়ির ভিতর বেঁধে রাখে। পরবর্তীতে দুইটি পিকআপে করে বিজলী ক্যাবলসের বিপুল পরিমাণ মালামাল নিয়ে ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটে চলে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। সকালে অচেতন অবস্থায় ওই মার্কেটের পাশ থেকে নিরাপত্তাকর্মীকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী আহত আব্দুর রউফ বলেন, ফজরের নামাজ শেষে ভোররাতে দেখি পিকআপসহ কয়েকজন মানুষ। পরে আমি জিজ্ঞেস করলাম, ভাই এখানে কি কোনো মালামাল নামবে? এর মধ্যেই পেছন থেকে পিকআপের ড্রাইভার আমার মাথায় আঘাত করেন। একজন বলছিল ‘ওরে মেরে ফেল’। এরপর টেনে গাড়িতে তুলে মুখ বেঁধে কি যেন নাকে ধরল। এরপর আর আমি কিছু জানি না। আর ওদের মুখ ঢাকা থাকায় কাউকে চিনতে পারিনি।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান খান বলেন, দুর্ধর্ষ এই ডাকাতির ঘটনা প্রথমে আমাদের নিরাপত্তাকর্মী দেখে ফেলেন। ডাকাতরা আব্দুর রউফকে বেধড়ক মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায়। এখন তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিজলী ক্যাবলসের শাখা ব্যবস্থাপক মো. শাহীন হোসেন বলেন, ঈদের ছুটিতে আমরা বাড়ি গিয়েছিলাম। সকালে ডাকাতির খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। নাইটগার্ডকে আহত করে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার উপরে মালপত্র নিয়ে গেছে। থানার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এমন ঘটনা দুঃখজনক।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।