ফাইল ছবি
নওগাঁয় নাবালিকা শিশুকে অপহরণের দায়ে অভিযুক্তের ১৪ বছর ও মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত দুই শিশুর ১০ বছর আটকাদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিকেলে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এই রায় প্রদান করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. মকবুল হোসেন এবং আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট মো. রবিউল আলম হক ও অ্যাডভোকেট মো. মনজুরুল হক।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার পত্নীতলা উপজেলার ঝলকাহার গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা এবং ১০ বছর বয়সী দুই শিশুর বাড়ি জেলার সাপাহার উপজেলায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৭ জুলাই নাবালিকা শিশু পত্নীতলা উপজেলায় দুপুরে তার বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। এ সময় রাস্তার পাশে পূর্ব হতে ওত পেতে থাকা আসামি মাসুদ রানা তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান। পরবর্তীতে ৩১ জুলাই শিশুর বাবা থানায় মামলা দায়ের করলে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবার জিম্মায় দেয় পুলিশ।
তিন কর্ম দিবসে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার জনাকীর্ণ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার আসামি মাসুদ রানাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডাদেশ প্রদানের সময় আসামি মাসুদ রানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
অপরদিকে, ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি রাত পৌন ১২টার দিকে জেলার সাপাহার উপজেলার জিরো পয়েন্ট তাল পুকুর মসজিদের পেছনে দুই শিশু মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে ধর্ষণ করে। পরে সাপাহার থানা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আট সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জনাকীর্ণ আদালতে উভয় অভিযুক্ত শিশুকে ১০ বছর করে আটকাদেশের নির্দেশ দেয় আদালত। এ সময় অভিযুক্তরা আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলা পরিচালনা করেন- রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. মকবুল হোসেন ও আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট মো. মনজুরুল হক।