অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম
নীলফামারীর ডিমলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক পদে দুই শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৬ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে শুক্রবার (৫মে) সন্ধ্যায় ডিমলা উপজেলার পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিউ মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিউ মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান রুস্তম আলী। ২০১৯ সালে তিনি এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু একই বছর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জালিয়াতি করে একই পদে বিকাশ চন্দ্র নামের অন্য একজনকে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্তির আবেদন পাঠান। পরবর্তীতে চাকরি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে নীলফামারী আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী রুস্তম আলী।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সায়েদুল ইসলাম ও বিকাশ চন্দ্র।
ভুক্তভোগী শিক্ষক রুস্তম বলেন, সহকারী শিক্ষক হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক পদে ওই প্রতিষ্ঠানে ২০১৫ সালে নিয়োগ পাই। প্রধান শিক্ষক জালিয়াতি করে একই পদে দুজন শিক্ষককে নিয়োগ দেখান। বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার এমপিও এনে দেবেন বলে জানান। কিন্তু আজও আমাকে এমপিওভুক্ত করা হয়নি।
এ বিষয়ে ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান বলেন, শিক্ষক নিয়োগে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
