ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বাসচাপায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের

প্রকাশিত: ১৭:১৪, ২ মে ২০২৩

বাসচাপায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের

সংগৃহিত ছবি

নরসিংদীর রায়পুরায় বাসের চাকায় পৃষ্ট হয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার মরজাল বাসস্ট্যান্ডের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

এতে ঘটনাস্থলেই মেয়ের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর আনুমানিক চার ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে ঢাকায় নেওয়ার পথে মায়ের মৃত্যু হয়। দুপুরে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নিহত টুম্পার খালাতো বোন তানিয়া।

নিহতরা হলেন- উপজেলার মরজাল এলাকার মো. মারুফ মিয়ার স্ত্রী টুম্পা বেগম (২৫) ও মেয়ে নিশি (৬)।

স্থানীয়রা জানান, টুম্পার বাবার বাড়ি বরিশালে, স্বামীর বাড়ি সিলেটে। স্বামী মারুফের সঙ্গে দুই বছর আগে ডিভোর্স হয় টুম্পার। তারপর মায়ের সহযোগিতায় বেশ কিছু দিন আগে রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশে একটু জায়গা কিনে সেখানে বাড়ি করেন টুম্পা।
 
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, টুম্পা বেগম প্রতিদিনের ন্যায় সকালে মেয়ে নিশিকে হলি ফ্লাওয়ার স্কুলে দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। তিনি মরজাল বাসস্ট্যান্ডের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা তিশা পরিবহনের বাস তাদের চাপা দেয়। এতে বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিশি মারা যায়। আর টুম্পাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই একজন মারা গেছে। আর একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমরা মরদেহ না দেখে কিছু বলতে পারব না। মেয়ের মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছে। এ ঘটনায় ঘাতক বাসকে আটক করা গেলেও চালক পলাতক রয়েছে। আর এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মহাসড়কের ওপর সবজির হাট বসার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এ দুর্ঘটনার সঙ্গে হাট বসার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে কোনো হাট নেই। মহাসড়কের দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তারা মহাসড়ক দেখাশোনা করে থাকেন। তাদের আমরা সহযোগিতা করি। আমরা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মিটিংকালে মহাসড়ক থেকে হাটগুলো সরানোর জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করতে বলেছি। এগুলো মহাসড়ক থেকে সরানো গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে।