ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

রাজাপুরের চাষিরা তরমুজের ফলনে ও দামে খুশি

প্রকাশিত: ২২:৪১, ১৪ মার্চ ২০২৩

রাজাপুরের চাষিরা তরমুজের ফলনে ও দামে খুশি

সংগৃহিত

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদীর চরের এলাকাজুড়ে প্রায় ১২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা তরমুজ বিক্রি করতে শুরু করেছে। দামও ভালো পাচ্ছে বলে কৃষকরা জানায়। 

তরমুজ চাষি নুরুল হক, জলিল মোল্লা, মনির মোল্লা, কাঞ্চন মোল্লা সেফাতে জানান, প্রায় তিনমাস আগে উপজেলার পূর্বপ্রান্তে বিষখালী নদীর চর এলাকাজুড়ে ২০ জন কৃষক মিলে ১২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেন। এ বছর ওই এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ পাম্পের সাহায্যে পানির ব্যবস্থা করা হয়। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে শ্রমিক, কীটনাশক ও সেচ খরচসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে যে ফলন হয়েছে, তাতে ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। 

তরমুজ চাষি নুরুল হক জানান, তরমুজ বিক্রির সময় হওয়ায় রাজাপুর সদরের হাট-বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসাযীদের খেত থেকে তরমুজ কিনে নিতে বললেও তারা তরমুজ কিনতে খেতে যায়নি। তারা কৃষকদের জিম্মি করে খুব সস্তায় তরমুজ কেনার আশায় বসে ছিলেন। কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় কয়েকজন কৃষক মিলে গাড়ি ভাড়া করে তরমুজ ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করছেন।  

তিনি জানান, ঢাকায় প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। প্রতিটি তরমুজ ৪ থেকে ৮ কেজি ওজন রয়েছে। কোন কোন তরমুজে এর চেয়ে বেশি ওজনও হচ্ছে। এতে কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছেন। এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ভালো দাম না দিলে কৃষকরা এলাকায় তরমুজ বিক্রি করবেন না বলে তিনি জানান। 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. শাহিদা শারমিন আফরোজ বলেন, এই বছর উপজেলায় মোট ৩৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ১ হাজার থেকে সাড়ে ১১ শত টন তরমুজ উৎপাদন হবে।