শরীয়তপুর সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঈদের নামাজ শেষে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন হাওলাদার এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চিতলিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ছালাম হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষে নিহত কুদ্দুস বেপারী (৮০) চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদার কান্দি গ্রামের মৃত রহম আলী বেপারীর ছেলে এবং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হারুন হাওলাদার ও ছালাম হাওলাদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ঈদের নামাজ শেষে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’
তিনি বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিতলিয়া এলাকা থেকে ২ জন এবং হাসপাতাল এলাকা থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।’
চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার বলেন, ‘সই জালিয়াতির কারণে দ্বিতীয় ধাপে চিতলিয়া ইউপি নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এখন আবার নতুন করে ১৫ জুন পুনর্নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হারুন হাওলাদারের সমর্থকরা স্থানীয়দের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করছে।’
‘ঈদের দিন তারা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, মাছ মারার কোচ, রামদা নিয়ে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। তাদের বাড়ি-ঘর কুপিয়েছে। হামলায় আমরা এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হারালাম।’ যোগ করেন তিনি।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপম সিকদার বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির গালে ও কানের নিচে ধারালো কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যারা হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন তারা বলছেন, তাকে টেঁটা দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট আসলে জানা যাবে কী কারণে তিনি মারা গেছেন।’
গাজীপুর কথা
