ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

দুই পরিবারের মারামারি দেখতে গিয়ে লাশ হলেন বৃদ্ধ

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

দুই পরিবারের মারামারি দেখতে গিয়ে লাশ হলেন বৃদ্ধ

যশোরের বেনাপোলে দুই পরিবারের মারামারি দেখতে গিয়ে শ্বশীভূষণ বিশ্বাস নামে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার পুড়াবাড়ী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির সামনে মাটি কাটা নিয়ে শুক্রবার বিকেলে ৩টার দিকে নারায়ণপুর গ্রামের বিনয় বিশ্বাস ও মনি ঠাকুরের পরিবারের মধ্যে কলহ বাঁধে। একপর্যায়ে তাদের মারামারি শুরু হয়। এ সময় পাইপ দিয়ে মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে পেটাতে থাকেন বিনয় বিশ্বাসের ছেলে শুভংকর বিশ্বাস ও আব্বাসের ছেলে বাবু। তাদের মারামারি থামানোর জন্য আশপাশ থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শ্বশীভূষণ বিশ্বাসও ছুটে যান।

শ্বশীভূষণ বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, বিনয় বিশ্বাস, তার ছেলে শুভংকর বিশ্বাস ও তাদের লোকজন মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে মারছিলেন। ঠেকাতে গেলে বাবাকে ধাক্কা দেন বিনয় বিশ্বাস। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় বাবাকে তুলতে গেলে বিনয় বিশ্বাসের লোকজন আমাকেও পাইপ দিয়ে মারতে থাকেন। মারের আঘাত বাবার গায়েও লাগে। এ সময় বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। বিনয় বিশ্বাসের লোকজন আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিনয় বিশ্বাস বলেন, মনি ঠাকুর আমার বাড়ির পাশ থেকে মাটি কাটছিল। মাটি কাটতে নিষেধ করায় মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় শ্বশীভূষণ বিশ্বাস মারামারির মাঝে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে কেউ কোনোভাবে আঘাত করেনি।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, নারায়ণপুর গ্রামে দুই পরিবারের মারামারির মাঝে পড়ে শ্বশীভূষণ বিশ্বাস মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কীভাবে মারা গেছেন সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিনয় বিশ্বাস ও তার ছেলে শুভংকর বিশ্বাস, আব্বাস ও তার ছেলে বাবু, মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে আটক করা হয়েছে।

গাজীপুর কথা