ঢাকা,  বুধবার  ০৮ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কোনো দেশের হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নেবো না: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২০:০৭, ১২ অক্টোবর ২০২৩

কোনো দেশের হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নেবো না: কৃষিমন্ত্রী

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা চাই জনগণের সমর্থন। জনগণ এই দেশের মালিক। জনগণের সমর্থন থাকলে বিদেশি শক্তি আমাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। বহির্বিশ্ব সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে যতই শক্তিশালী দেশ হোক না কেন তারা কোনোভাবেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কোনো দেশের কোনো রকম হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নেব না।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের বাগবাড়ী চৌবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিএনপি একটানা আন্দোলন সংগ্রাম করছে। একই দাবি ২০১৩ সাল থেকে শুরু করেছে। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের ২০১৩ সালের পরিণতি হবে। যারা নির্বাচন বয়কট করতে চায়, তারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। অনেক অন্যায়, অত্যাচার করেছে দেশের জনগণকে। সেসময় এদেশে গণতন্ত্র ছিল বিপন্ন। সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি, কিছু লবিস্ট বিএনপি-জামায়াত ধর্মান্ধদের টাকা খেয়ে মিথ্যাচার ও মিথ্যা রিপোর্ট দেয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল, সব সময়ই গণতন্ত্র চর্চা করে এসেছে। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এবং দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে সব আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। আগামী নির্বাচনেও দলটি গণতন্ত্র চর্চা করবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ। কোনো শক্তি, চক্রান্তকারী ও বিদেশিদের পা চাটে এমন কেউ এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারবে না।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিলে বিরোধীদল নির্বাচনে আসবে না বলছে। সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে। তাদের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনারের এখতিয়ারে হবে। পৃথিবীর কোথাও তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।

ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিএনপির ভাষায় আরেকটি রেজুলেশন তারা নিয়েছে। আপনারা বাংলাদেশে টিম পাঠান। আপনারা বলেছেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নাই, কথা বলার অধিকার নাই, মানবাধিকার হুমকির মুখে। মানবাধিকার কি শুধু মিথ্যাচার করা? আপনারা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশের দুই-এক ভাগ সংখ্যালঘু যদি বলে আওয়ামী লীগ তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়নাই, সবচেয়ে ভালো অবস্থানে নাই। তাহলে আমরা এ দেশে সরকারে থাকবো না। এ দেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, গারো, চাকমা, প্রতিটি মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, আতাউর রহমান খান এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, শাজাহান আনসারী, যুগ্ম সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুনসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।