ঢাকা,  রোববার  ০৫ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

নোয়াখালীতে দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১০ অক্টোবর ২০২৩

নোয়াখালীতে দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

ফাইল ছবি

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম সাগর (২০) নামের এক যুবককে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় মিঠু চন্দ্র দাস ও জিতু চন্দ্র দাস নামের দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর ধারায় আসামিদের আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত মিঠু চন্দ্র দাস ও জিতু চন্দ্র দাস মধ্য চরবাটা গ্রামের পূণ্য মহাজন বাড়ির মনোরঞ্জন দাসের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাশাপাশি বাড়িতে বসবাসের সুবাদে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কামরুল ইসলাম সাগরের। এনিয়ে তরুণীর পরিবারের লোকজন একাধিকবার সাগরকে মারধরের চেষ্টা করে। কিন্তু তরুণী পরিবারের কথা অমান্য করে সাগরের সঙ্গে দেখা করতেন এবং তাদের ঘরে যাওয়া আসা করতেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তরুণীর বাবা পাশ্ববর্তী মিঠু চন্দ্র দাসকে সাগরের পেছনে লেলিয়ে দেন। এর মধ্যে মিঠুর সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই তরুণীর। এরই জেরে মিঠু বিভিন্ন সময় সাগরকে হুমকি দিতেন।

২০১৮ সালের ৮ জুন প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বাড়ির পাশের সড়কে সাগরের সঙ্গে মিঠুর হাতাহাতি হয়। ওই দিন রাতে সাগরকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় মিঠু ও তার ভাই জিতু। রাত ১টার দিকে মিঠু ও জিতু প্রথমে সাগরকে মারধর করে ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর সাগরের লাশ বস্তায় ভরে পাশের একটি বাগানে ফেলে দেয় আসামিরা। পরদিন পুলিশ সাগরের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাগরের ভাই বাদী হয়ে মিঠু ও জিতুসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি গুলজর আহমেদ জুয়েল জানান, আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুই আসামি মিঠু ও জিতুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।