ঢাকা,  শুক্রবার  ০৩ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পালক মেয়ে জেনে নির্যাতন

স্বামী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ৩১ আগস্ট ২০২৩

স্বামী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

.

লক্ষ্মীপুরে শারমিন আক্তার নুপুর (১৯) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।  

নুপুরের ভাই রাকিব হোসেন রায়হানের অভিযোগ, ফার্নিচারের জন্য নুপুরের স্বামী মোহাম্মদ উল্যাহ লিটনসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যার পর নুপুরের মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। এর আগে পালক মেয়ে জানতে পেরে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়।  ঘটনার পর নুপুরের ৮ মাস বয়সী সন্তান আবদুল তাকরিমকে নিয়ে সবাই পালিয়ে গেছেন। 

গতকাল সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।  

ঘটনার পর থেকেই শ্বশুর আবুল হোসেন, স্বামী মোহাম্মদ উল্যাহ লিটন, শ্বাশুড়ি বাসুরা বেগম, ননদ নয়ন বেগম, কাজল রেখা ও পারভিন আক্তার পলাতক রয়েছেন। 

নুপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব জামিরতলী গ্রামের ফখরুল ইসলামের মেয়ে। ২০২২ সালে লিটনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়।
রাকিব হোসেন রায়হান বলেন,বুধবার সকাল ৭টার দিকে নুপুরের সঙ্গে আমার কথা হয়। ফার্নিচারের জন্য লিটন, তার মা বাসুরা বেগম ও বোন পারভিন আক্তার আমার বোনকে মারধর করেছে। ঘটনাটি জানতে পেরে লিটনের সঙ্গে কথা বললে আমাকে তিনি গালমন্দ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই শুনি আমার বোন আর নেই। বোনকে মেরে ঝুলিয়ে রেখে তারা পালিয়ে গেছে। 

দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম কামাল উদ্দিন বলেন, বাবা-মায়ের আপন মেয়ে না হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই নুপুরের ওপর স্বামী-শ্বাশুড়ি ও ননদরা নির্যাতন চালিয়েছে বলে শুনেছি। ইউপি সদস্যসহ আশপাশের লোকজনও তা জানিয়েছে।  

তিনি আরও জানান, নুপুরে লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তার এক পা খাটের বাইরে, অন্য পা খাটের ওপরে ছিল। দরজা আটকানো থাকলেও জানালার একটি কাঁচ ভাঙা ছিল।

দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।