ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ০২ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রথম ইউনিটের জন্য জ্বালানির প্রথম ব্যাচের উৎপাদন সম্পন্ন

প্রকাশিত: ২২:১০, ১০ আগস্ট ২০২৩

প্রথম ইউনিটের জন্য জ্বালানির প্রথম ব্যাচের উৎপাদন সম্পন্ন

ফাইল ছবি

পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ জ্বালানির প্রথম ব্যাচের উৎপাদন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) রসাটমের জ্বালানি কোম্পানি টেভেলের একটি প্রতিষ্ঠান নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কন্সেন্ট্রেটস প্ল্যান্টে (এনসিসিপি) এই জ্বালানির এক্সসেপটেন্স ইন্সপেকশন সম্পন্ন হয়েছে।

ইন্সপেকশনে অংশ নেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, এনসিসিপি, টেভেল ও এতমস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) প্রতিনিধিরা। সফলভাবে ইন্সপেকশন সম্পন্ন হওয়ার পর এক্সসেপটেন্স প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর ও এএসই ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অপর প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি দেইরি।

প্রটোকল স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এই প্রথম ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদনকারী কারখানা থেকে বাংলাদেশে শিপমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেল। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই এই জ্বালানি বাংলাদেশ পৌঁছাবে।

টেভেলের কোয়ালিটি ডিরেক্টর আলেক্সান্দার বুখালভ বলেন, ‘সফলভাবে পরিচালিত আমাদের সব ভিভিইআর-১ হাজার ২০০ পাওয়ার ইউনিটগুলো থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে টেভেল ফুয়েল কোম্পানি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য উন্নত এবং কার্যকরী পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন করেছি। প্রাক-উৎপাদন এবং উৎপাদনের সব ধাপে এমনকি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহের ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকের সব অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়েছি। আমি আশাবাদী, আমাদের এই জ্বালানি আবারও রুশ পারমাণবিক প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব ও সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করবে।’

রূপপুর প্রকল্পের জেনারেল কন্ট্রাক্টর এএসই ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরি বলেন, ‘রূপপুর প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। রসাটমের প্রকৌশল শাখা সব ক্ষেত্রেই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে পূরণ করছে। প্রকল্প সাইটেই জ্বালানি পৌঁছানোর পূর্বেই প্রথম ইউনিটটি জ্বালানি লোডিংয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। এ ছাড়া রি-অ্যাক্টরে জ্বালানি লোডিংয়ের আগ পর্যন্ত সব নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ করেই এই জ্বালানি সংরক্ষণের সব ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে যে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা বর্তমানে সক্রিয় ভিভিইআর ১ হাজার ২০০ রি-অ্যাক্টরভিত্তিক তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো হলো লেনিনগ্রাদ এনপিপি, নভোভারোনেঝ এনপিপি ও বেলারুশ এনপিপি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাক্টর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় করপোরেশন রসাটম করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দুটি ইউনিট স্থাপিত হবে। প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে থাকছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রি-অ্যাক্টর, যেগুলো সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।