ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুই দফা হোটেলে যান রেজাউল-জান্নাতুল

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ১২ আগস্ট ২০২২

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুই দফা হোটেলে যান রেজাউল-জান্নাতুল

জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীক ও রেজাউল করিম- ফাইল ছবি

বুধবার সকাল ৮টায় রাজধানীর পান্থপথের ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামে আবাসিক হোটেলে আসেন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা রেজাউল করিম। সঙ্গে ছিলেন সদ্য এমবিবিএস পাশ করা জান্নাতুল নাঈম সিদ্দীক। সাড়ে ১০টার দিকে হোটেলের কক্ষটি বাইরে থেকে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান রেজাউল। এরপর তিনি ফিরে আসেননি।

এই হোটেল থেকেই বুধবার রাতে জান্নাতুলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর খোঁজ শুরু হয় রেজাউলের। এক পর্যায়ে র‍্যাব চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রেজাউলকে গ্রেফতর করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

প্রাথমিক তদন্তে জান্নাতুলকে হত্যার কারণসহ রহস্যজট কাটেনি। রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব জান্নাতুল হত্যার বিস্তারিত তথ্য জানাবে।

তথ্য ও ফুটেজ বিশ্লেষণে জানা যায়, রেজাউল ও জান্নাতুল হোটেলের চতুর্থ তলার ৩০৫ নম্বর কক্ষে ছিলেন। রেজাউল বের হয়ে যাওয়ার পর কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। দীর্ঘসময় কক্ষ তালাবদ্ধ দেখে রাত ৯টার দিকে কলাবাগান থানা পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ ওই কক্ষের বিছানা থেকে গলাকাটা অবস্থায় জান্নাতুলের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা শফিকুল আলম কলাবাগান থানায় মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে রেজাউল ও অজ্ঞাতদের। জান্নাতুলকে কেন হত্যা করা হয়েছে সে ব্যাপারে ধারণা দিতে পারেননি স্বজনরা।

পুলিশ জানিয়েছে, লাশ উদ্ধারের পর ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষন করা হয়। ওই হোটেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভিকটিম ও আসামি ঘটনার আগেরদিনও স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে যান। তারা বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। বুধবার সকাল ৮টায় তারা আবার সেখানে যান। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর একা বেরিয়ে যান রেজাউল।

কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ঐ নারী চিকিৎসককে হত্যা করা হয় বলে ধারণা মিলেছে। তবে কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। রেজাউলের সঙ্গে জান্নাতুল দুই দফা হোটেলটিতে যান, সে বিষয়ে প্রমাণ মিলেছে। রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে জান্নাতুলের লাশ তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে নেয়া হয়েছে। রেজাউল করিমের বাড়ি কক্সবাজার। তাদের দুজনের সম্পর্ক পরিবার মেনে নেয়নি বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

আরো পড়ুন