নর্দার্ন লাইটসের কারিকুরি
নর্দার্ন লাইটস বা অরোরা বা মেরুজ্যোতি আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর একটি। মেরু অঞ্চলের আকাশে দৃশ্যমান বিভিন্ন রঙের এই আলোকচ্ছটা সবারই চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। যুগে যুগে একে ঘিরে জন্ম নিয়েছে অজস্র মিথ। অরোরার সৌন্দর্য ব্যাখ্যাতীত হলেও এর পেছনে প্রকৃতি ও বিজ্ঞানের কারিকুরির কিন্তু স্পষ্ট একটি ব্যাখ্যা আছে।
সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে, বায়ুমণ্ডলের ম্যাগনেটোস্ফিয়ার স্তরের চার্জিত কণাসমূহ এবং থার্মোস্ফিয়ারে থাকা অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন পরমাণুর পারস্পরিক সংঘর্ষের ফলে শক্তি সৃষ্টি হয়, যা অভ্যন্তরীণ শক্তি হিসেবে সঞ্চিত হয় বায়ুমণ্ডলে। এই সঞ্চিত শক্তি যখন আলোকশক্তি হিসেবে বিকিরিত হয়, তখনই মেরুজ্যোতি দেখা যায়। সহজ ভাষায়, রঙ-বেরঙের আলোর খেলা দেখা যায়।
উত্তর অক্ষাংশে এটি অরোরা বোরিয়ালিস বা নর্দার্ন লাইটস বা সুমেরুজ্যোতি নামে পরিচিত। আর দক্ষিণে এর নাম অরোরা অস্ট্রালিস বা সাউদার্ন লাইটস বা কুমেরুজ্যোতি।
এলগিনের এক সারি গাছের ওপরে অরোরা দেখা যায়। ছবি: বিবিসি
মোরের ফিন্ডর্হনের একটি গ্রামে বাড়ি-ঘরের ওপর অরোরার সৌন্দর্য। ছবি: বিবিসি
বিবিসির একজন আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আর্গিল এবং বুটে সমুদ্রের ওপরে অরোরার ছবিটি ধারণ করেছেন।
অ্যাবারডিনশায়ারের পেনানের ওপর উজ্জ্বল সবুজ অরোরা। ছবি: বিবিসি
উত্তর ইয়র্কশায়ারের স্কারবোরোতে উত্তর উপসাগরের দৃশ্য। রাত ৩টায় ছবিটি তুলেছেন বিবিসির একজন সাংবাদিক।
অরোরার আলোকচ্ছটা দক্ষিণের লিওমিনস্টার, হেয়ারফোর্ডশায়ার পর্যন্ত দেখা গেছে। ছবি: বিবিসি