বিয়ে করেছেন মাত্র দেড় মাস। এরই মাঝে চলে এসেছে ভাদ্র মাস। এলাকার রীতি অনুযায়ী পুরো ভাদ্র মাস নতুন স্বামী-স্ত্রী একে অপরের মুখ দেখতে পারবে না। এতে অমঙ্গল হয় সংসারে।
স্বামীর মুখ দেখতে ব্যাকুল ছিলেন নববধূ। অনেক চেষ্টার পরও স্বামীর দেখা না পেয়ে অবশেষে অভিমান করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সুমনা আক্তার নামে এক নববধূ। সুমনা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউপির কালিগঞ্জ গ্রামের সুলতান আলীর মেয়ে।
শনিবার সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দেড় মাস আগে সুমনা সঙ্গে উপজেলার বালাপাড়া ইউপির ছাতনাই বালাপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রফিজুল ইসলামের বিয়ে হয়।
নববধূ সুমনা ভাদ্র মাসের একদিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসে। কিন্তু স্বামীর প্রতি ভালবাসায় আর স্বামীকে দেখতে না পাওয়ায় তিনি মনকষ্টে ভুগছিলেন। এ অবস্থায় সুমনার বাবা সুমনাকে বেড়াতে পাঠিয়ে দেন উপজেলার বালাপাড়া ইউপির বসুনিয়া পাড়ায় মামার বাড়িতে।
ভালোবাসার মানুষটিকে মামার বাড়িতে গিয়েও সুমনা দেখতে চায়। কিন্তু স্বামী তাকে আর কয়েক দিন একা থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এতে সুমনা অভিমান করে সবার অজান্তে শুক্রবার রাতে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন। মামার বাড়ির লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ডিমলা থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গাজীপুর কথা