কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণায় শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে পিছিয়ে থাকা উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ। বাড়বে শিক্ষার হার, সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান আর প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের- এমন স্বপ্নের কথা জানায় সাধারণ মানুষ।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম সফর করেন। সরকারি কলেজ মাঠের সমাবেশে কুড়িগ্রামের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে কুড়িগ্রামে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০’ খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস নির্মাণে সম্ভাব্য স্থান হিসেবে সদর উপজেলার বেলগাছা ও কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের দুটি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়। এতে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার স্বপ্ন আরও গতি পায় তিস্তাপাড়ের মানুষের।
স্থানীয়রা জানান, এখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, আমরা জনগণ সবাই খুশি। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতে পারবো, আমাদের বাবা-মা’র আর্থিক সংকট দূর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পেলে শিক্ষার সাথে এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি হবে, বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, কুড়িগ্রামবাসীর প্রাণের দাবি একটি মেডিকেল কলেজ, একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল। আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু হত্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এই দাবিটিও পূরণ করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’সহ মেডিকেল কলেজ এবং তিস্তা দ্বিতীয় সেতুর উপর রেল সংযোগ বাস্তবায়নের দাবি কুড়িগ্রামবাসীর।
গাজীপুর কথা