ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জবিতে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ছাত্র গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০১:৩০, ২১ অক্টোবর ২০২৩

জবিতে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ছাত্র গ্রেফতার

গ্রেফতারকৃত ছাত্র মেহেদী হাসান ওরফে সৈকত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃত ছাত্রের নাম মেহেদী হাসান ওরফে সৈকত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। এই মামলায় আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে প্রকাশ্যে মেহেদী যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেহেদীকে আটক করে পুলিশে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

ভুক্তভোগী ছাত্রী গতকাল রাতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মেহেদীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মেহেদী গত এক বছর ধরে তাকে অনলাইনে নিয়মিত বিরক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি তিনি ক্যাম্পাসের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের জানান। তারা মেহেদীকে একাধিকবার সতর্ক করেন। গতকাল তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের জন্য ক্যাম্পাসে আসেন। একপর্যায়ে তাকে প্রকাশ্যে যৌন হয়রানি করেন মেহেদী। তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়। এ ছাড়া তাকে উদ্দেশ করে মেহেদী নানা আপত্তিকর কথা বলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ জানান। পরে প্রক্টর কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দেন।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রী তার কার্যালয়ে অভিযোগ দিলে তারা মেহেদীকে আটক করে পুলিশে দেন। ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর ছাত্রীর করা মামলার বিষয়টি দেখবে পুলিশ।

আটেকর বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল পুলিশকে খবর দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেহেদীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ভুক্তভোগী ছাত্রী গতকাল রাতে মেহেদীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে। তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।