বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. রকিব সেরনিয়াবাতকে ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যার এত বছর পার হয়ে গেলেও বিচার হয়নি এখনও। তার মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পরিবারের জন্য তিন হাজার টাকার একটি অনুদানের চেক দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর সই রয়েছে চেকটিতে। চেকটিতে উল্লেখ রয়েছে-‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল, সোনালী ব্যাংক স্থানীয় কার্যালয়, ঢাকা। একাউন্ট নং-৪৬৯৩। ’
তবে জাতির জনকের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার দরুন চেকটি আঁকড়ে ধরে রেখেছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। আর সেই চেকটি তারা তুলে দিতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। একই সঙ্গে রকিব সেরনিয়াবাত হত্যার বিচারও দাবি করছেন পরিবারের সদস্যরা।
চেকটি সেকান্দার আলীর হাতে পৌঁছায় ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে। এরপর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হওয়ার পর তার স্মৃতি ধরে রাখতে চেকটি ভাঙাননি সেকান্দার আলী। পরিবারের এক সদস্য চেকটি নিয়ে ব্যাংকে গেলেও সেখান থেকে ফেরত আনেন সেকান্দার আলী। শত অভাবের মধ্যেও সন্তানহারা বাবা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি হিসেবে চেকটি পরম যত্নে তার কাছে রেখেছেন।
নিহত মুক্তিযোদ্ধার ছোট ভাই মো. রাজিব সেরনিয়াবাত জানান, ১৯৭৪ সালে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আ. রকিব সেরনিয়াবাত। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে তাকে গুলি করে হত্যা কার হয়।পরে গৌরনদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
রাজিব সেরনিয়াবাত বলেন, ২০০১ সালে বাবা মারা যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর সই করা সেই চেকটি বাবা আমার হাতে তুলে দিয়ে যায়। মৃত্যুর আগে বাবা বলেছিলেন এটা চেক নয়, এ হলো স্বয়ং বঙ্গবন্ধু। চেকের মধ্যেই আমি বঙ্গবন্ধু আর আমার ছেলে রকিবকে খুঁজে পাই।
তিনি আরও বলেন, চেকটি পরম যত্নে দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এখন চেকটি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে সরাসরি তুলে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। সেইসঙ্গে ভাইয়ের হত্যার বিচারও চাই।
গাজীপুর কথা