গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে নতুন একটি পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) একদল গবেষক। তাদের দাবি, এই পদ্ধতিতে পৃথিবীর দিকে আসা গ্রহাণুগুলোর গতিপথকে অনেক আগেই পরিবর্তন করে দেওয়া সম্ভব হবে।
সাং উক পাইকের নেতৃত্বে একদল গবেষক একটি ডিসিশন ট্রি তৈরি করেছে যা সঠিকভাবে অনুমান করতে পারবে ঠিক কবে কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর আকর্ষণ-বলয় (কি-হোল বা গ্র্যাভিটেশনাল হলো) মধ্যে ঢুকবে।
এই সময়টি জানা খুবই জরুরি কারণ, কোনও গ্রহাণু এই বলয়ের মধ্যে ঢুকে গেলে নিশ্চিত হয়ে যায় যে এটি পৃথিবীতে আঘাত হানবেই। এর এমন পরিস্থিতিতে গ্রহাণুটির দিকে পারমানবিক বোমা ছুঁড়ে মারা ছাড়া কোনও বিকল্প থাকে না। যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
তারা সময় জানার পাশাপাশি গ্রহাণুর গতিপথ বদলে দিতে তিনটি আলাদা আলাদা পদ্ধতি প্রস্তাব করেছে।
১. একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে গ্রহাণুটির গতিপথ বদলে দেয়া।
২. কেমন ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে হবে তা জানার জন্য আগে একটি স্কাউট যান পাঠানো।
৩. দুটি স্কাউট যান পাঠানো যা গ্রহাণুর আকার আকৃতি মাপবে আর সম্ভব হলে ধাক্কা দিয়ে গতিপথ বদলানোর চেষ্টা করবে।
ধেয়ে আসা গ্রহাণুর গতিপথ বদলাতে তাদের এই মডেল ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমন নয় যে আমরা খুব সহসাই গ্রহাণুর দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছি। তবে এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকছেন বৈজ্ঞানিকরা। ২০২৯ সালে একটি গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে।
গাজীপুর কথা