ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ০৯ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জেনারেল ওসমানীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জেনারেল ওসমানীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি জেনারেল এম এ জি ওসমানী নামে সমধিক পরিচিত। 
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার্থে লন্ডন থাকাকালীন ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন এ বীর সেনানী। ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম তার।

১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন ওসমানী। ১৯৩৮ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে ওসমানী তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন৷ ১৯৩৯ সালে তিনি রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন।

১৯৪০ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কমিশনড অফিসার হিসেবে। ১৯৪২ সালে মেজর পদে উন্নীত হন। ১৯৪২ সালে ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মেজর। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ওসমানী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে লং কোর্স পরীক্ষা দিয়ে উচ্চস্থান লাভ করেন৷ দেশবিভাগের পর ১৯৪৭ সালের ৭ই অক্টোবর ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।

সে সময় তার পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল। ১৯৪৯ সালে তিনি চিফ অফ জেনারেল স্টাফের ডেপুটি হন। ১৯৫১ সনে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর প্রথম ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হন৷ এরপর তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করেন৷ ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ববাংলার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সঙ্গে পালন করেন৷

১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদমর্যাদা লাভ করেন এবং সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারের জেনারেল স্টাফ অ্যান্ড মিলিটারি অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেন৷ ১৯৬৬ সালের মে মাসে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসরকালীন ছুটি নেন এবং পরের বছর (১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি) অবসরে যান।

১৯৮৪ সালের এই দিনে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ওসমানী স্মৃতি পরিষদ’ কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

তার স্মরণে ঢাকায় গড়ে উঠেছে ‘ওসমানী উদ্যান’ ও স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিপরীতে ‘ওসমানী মেমোরিয়াল হল’৷ এছাড়া তাঁর সিলেটের বাসভবনকে করা হয়েছে জাদুঘর৷ সরকারি উদ্যোগে সিলেট শহরে তাঁর নামে একটি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ৷

গাজীপুর কথা