ঢাকা,  রোববার  ১৬ জুন ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্ন মিশন

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ২৩ মে ২০২৪

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্ন মিশন

ফাইল ছবি

টেক্সাসের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়াতে থাকা অচেনা এক যুবক হয়তো জানেনও না, ইতিহাসের পাতায় নিজেকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো আইসিসির পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় পেয়েছে, সেই জয়ের সাক্ষী তিনি।

মহাসড়কের পাশে খোলা ময়দানে অস্থায়ী স্থাপনায় তৈরি কমপ্লেক্স। সেখানেই বুধবার যেকোনো ফরম্যাটে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দশ ধাপ পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। খেলার মান, নাম, ডাক, র‌্যাংকিং সবকিছুতেই বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পেছিয়ে তারা। অথচ কী আশ্চর্য! ২২ গজে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে স্রেফ চমকে দিল তারা। যেমন বোলিংয়ে, তেমন ব্যাটিংয়ে। ৫ উইকেটে অসাধারণ এক জয় তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্বকাপের আগে নিজেদের আয়োজিত দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং একেবারেই নিরামিষ। ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে রান কেবল ১৫৩। বোলিংয়ে মাঝে কিছুটা ভালো করলেও শুরু আর শেষটা নির্বিষ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সবাইকে চমকে দিয়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে তুলে নেয় দারুণ জয়। বোলিংয়ে তেমন কোনো সুযোগই দেননি তারা। ব্যাটিংয়ে শুরু ও শেষটা একেবারে পিকচার পারফেক্ট।

বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে কানাডার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে তারা। সেই আত্মবিশ্বাসেই বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেয় তারা। বাংলাদেশ এর আগে ২০ ওভারের ফরম্যাটে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, এমনকি হংকংয়ের কাছেও হেরেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হার ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব রেকর্ড। কেননা র‌্যাংকিংয়ে এতো দূরে থাকা দলের বিপক্ষে এর আগে কখনো হারেনি বাংলাদেশ।

পেছনের ব্যর্থতা ভুলে এখন সামনে তাকানোর পালা। একই মাঠে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের আতিথেয়তা নেবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু রাত ৯টায়। দুই মেরুতে থাকা দুই দলের চাওয়া আজ ভিন্ন। বাংলাদেশের লড়াই সিরিজ বাঁচানোর। যুক্তরাষ্ট্রের সিরিজ নিশ্চিতের। এই ম্যাচটা যুক্তরাষ্ট্র জিতে নিতে পারলে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ এই ম্যাচ হেরে সিরিজ হারলে বিশ্বকাপের আগে আরো বড় ধাক্কা খাবে।

প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র জয়ের নেশায় বুদ হয়ে ছিল। মাঠের পারফরম্যান্সেই তা বোঝা গেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে তেমন তাড়নাই চোখে পড়েনি। সঙ্গে দলের সম্মিলিত অফফর্ম তো আছেই। মাঠের কন্ডিশনও বাংলাদেশের খুব অচেনা ছিল না। মন্থর আউটফিল্ড, উইকেটে বল ধরে আসছে- এমন পিচে খেলতে কম-বেশি অভ্যস্তই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু মাঠে সেই অভ্যস্ততার কোনো চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয় ম্যাচে প্রায় একই রকম উইকেট থাকবে। কন্ডিশনও পাল্টানোর মতো নয়। এই ম্যাচে কি বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? নাকি তৃতীয় ম্যাচের আগেই সিরিজ হারাবে? উত্তরটা জানার জন্য রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।