ঢাকা,  রোববার  ১৬ জুন ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বোলার দেখে খেলি না, বল দেখে খেলি: তানজিদ তামিম

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ২২ মে ২০২৪

বোলার দেখে খেলি না, বল দেখে খেলি: তানজিদ তামিম

ফাইল ছবি

চলতি মাসের শুরুর দিকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিমের। অভিষেক ম্যাচটি দারুণভাবে রাঙিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ৬৭ রানের অপরাজিত এক ইনিংস।

ওই সিরিজে ৪০ গড়ে ব্যাট করে মোট ১৬০ রান করেছেন তানজিদ। অভিষেক ম্যাচে প্রথম ফিফটির পর দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকিয়েছেন চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে। তার যে জিনিসটা ক্রিকেটভক্তদের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে তা হলো- ব্যাটিং স্টাইল ও দারুণ কিছু ড্রাইভ।

সম্প্রতি তানজিদের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখানে বাঁহাতি তরুণ ক্রিকেটার জানিয়েছেন, শৈশব থেকে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পর্যন্ত স্বপ্নযাত্রার গল্প।

তানজিদ আরও জানিয়েছেন, তার ক্রিকেটীয় জীবনের শুরুটা কেমন ছিল, ছোটবেলায় পড়াশোনার সঙ্গে সমান্তরালভাবে কীভাবে খেলাও চালিয়ে নিয়েছেন তিনি। ব্যাট খেলার সময় তার দর্শন কেমন? কোন গুণাবলিতে ভালো শট খেলতে শিখেছেন তামিম, ইত্যাদি নানান বিষয়।

প্রথমেই তানজিদ জানিয়েছেন, পরিবারের অমতে তিনি কীভাবে ক্রিকেটার হয়েছেন, সেই গল্প।

তানজিদ বলেন, ‘অন্যদের মতো আমার বাবা-মাও চেয়েছিলেন তার ছেলেকে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন। ভালো পড়াশোনার জন্য শহরে নিয়ে এসেছিলেন আমাকে। সেখানে পড়াশোনার বাইরে যে সময়টা পেয়েছিলাম, তা খেলাধুলা করে কাটিয়েছি। স্কুলের পর প্রাইভেট টিচাররা আসতেন, এমনকি রাতেও টিচাররা আসতেন। আমাকে বাসায় পেতেন না। তখন মা বলতেন, পড়াটা শেষ করে যেন খেলতে যাই।’

এরপর পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাটাও সমান্তরালে চালিয়ে গেছেন তানজিদ।

একাডেমিতে ভর্তির হওয়ার বিষয়ে তানজিদ বলেন, ‘আম্মু বলতেন, পরীক্ষায় ভালো করলে আমাকে একাডেমিতে ভর্তি করাবেন। ব্যাট-বল কিনে দেবেন। এসব শর্তে আমিও ভালো রেজাল্ট করতাম। পড়াশোনায় মোটামুটি ভালোই ছিলাম আমি। শর্ত পূরণ করলে আম্মু আমাকে খেলতে দিতেন।’

কীভাবে এত দ্রুত এই পর্যায়ে এসেছেন, এমন প্রশ্নে তানজিদ বলেন, ‘আমি জানি না। তবে ছোটবেলায় খেলার যে নেশা ছিল, সেটাই আমাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।’

বর্তমানে বাবা-মা কেমন সমর্থন করেন সে বিষয়ে তানজিদ বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবা যখন অফিস থেকে ফিরতেন, তখন দেখতেন আমি বাসাই নাই। প্রাইভেট টিচার বসে আছে। তখন বাবা অনেক রাগ হতেন। বাবার সেই কঠোরতা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। এখন বাবা-মা দুইজনেই অনেক সাপোর্টিভ। আমার ভালো-খারাপ দুই সময়েই পাশে থাকেন।’

২০২০ সালে বাংলাদেশ দলের হয়ে অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপ জিতেছেন তানজিদ।

সেই সুখকর স্মৃতি আর নিজের বিশ্বজয়ের উচ্ছ্বস নিয়ে তানজিদ বলেন, ‘বিশ্বকাপ খেলাটা একটা লাকের (ভাগ্য) ব্যাপার। আমি অনেক লাকি (ভাগ্যবান) ছিলাম যে, বিশ্বকাপ খেলতে পেরেছি। হয়তো দেশকে ভালো কিছু দিতে পারি নাই। কিন্তু সেখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’

ব্যাট করার দর্শন নিয়ে তানজিদ বলেন, ‘আমার সবসময় ইনটেন্ড (প্রত্যাশা) থাকে পজিটিভ (ইতিবাচক)। আমি কখনো বোলার দেখে খেলি না। বল দেখে খেলার ট্রাই করি। চেষ্টা থাকবে (বিশ্বকাপে) সেই প্রসেস (প্রক্রিয়া) মেনে খেলার।’

অভিষেক সিরিজে ভালো করায় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও জায়গা পেয়েছেন তানজিদ। বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের জার্সিতে ভালো কিছু করার আশা করছেন তানজিদ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে দেশকে কিছু দেওয়ার।