ঢাকা,  বুধবার  ০১ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুর-ঢাকা করিডোরে চলবে ১৭৩ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস

প্রকাশিত: ১৯:২১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৯:৫৫, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুর-ঢাকা করিডোরে চলবে ১৭৩ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস

সংগৃহিত ছবি

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে যোগাযোগ সংযোগ স্থাপনের লক্ষে সরকার দেশের শিল্প সমৃদ্ধ জেলা গাজীপুরের মধ্য দিয়ে গড়ে তুলছে দেশের প্রথম বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি করিডোর। অর্থাৎ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ এ করিডোর গড়ে তুলা হচ্ছে। বিশেষ এ করিডোরের কাজের অগ্রগতি অতিদ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পের কাজ যথা সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ হলে আগামী ডিসেম্বরে এ করিডোরে বিশেষায়িত গণপরিবহন নামার কথা রয়েছে। 

বিশেষ এ করিডোরের জন্য এবার ঢাকায় বিআরটি নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশেষায়িত ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১৭৩ টি বাসের দরপত্র আহ্বান অতিশীঘ্রই শুরু করবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৮ এপ্রিল নতুন করে আবারও দরপত্র আহ্বান করবে বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিশেষ এ করিডোরে বিশেষ বাস সার্ভিস পরিচালিত হবে। এ বিশেষ বাস সার্ভিস ব্যবহার করে অফিস গামী পেশাজীবিরা খুব সহজেই স্বচ্ছন্দে বিমানবন্দর টু গাজীপুর। গাজীপুর টু বিমানবন্দর এলাকায় যাতায়াত সুবিধা ভোগ করবেন। আধুনিক ও অত্যাধুনিক এ পরিষেবা চালু হলে কোন ধরনের যানজটের ভোগান্তি ছাড়াই মাত্র ৪০/৫০ মিনিটে রাজধানীতে পৌঁছাতে পারবেন জরুরী ও অফিস পাড়ার যাত্রীরা।

বিআরটি সূত্রে জানা গেছে,ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষায়িত লেন। এ লেন দিয়ে কেবল বিআরটির বাস চলাচল করবে। ইন্টারসেকশন, মোড়,ফিডার রোডের সংযোগস্থলের মতো যানজটপ্রবণ এলাকায় বিআরটি লেনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ফ্লাইওভার এ জন্য কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ও সড়কে যানচলাচল চলে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা থাকবেনা।নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এ করিডোরে গণপরিবহন পরিষেবা প্রদানে থাকছে ২৫টি বাস স্টেশন।

২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বিআরটির এ বিশেষ  করিডোর নির্মাণে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক,ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)। সব মিলিয়েং প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।

বিশেষায়িত এ করিডোর নিরাপদ ও যাত্রীদের কাছে পরিবেশ বান্ধব করতে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার বিশেষায়িত বাস লেন, টঙ্গী সেতু পুনর্নির্মাণ করে ১০ লেনে উন্নীতকরণ,সাতটি ফ্লাইওভার, একটি বাস টার্মিনাল, ১১৩টি সংযোগ সড়ক, উচ্চ ক্ষমতার ড্রেনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ অতিদ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।এসব কাজ সম্পূর্ণ হলে পুরো গাজীপুর,উওরা ও ঢাকা রোড়ে এক পরিবহন যোগাযোগের দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

বিআরটি করিডোর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় অধীন ঢাকা বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান জানান, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষায়িত বাস গুলো সংগ্রহ করার উদ্যাগে গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য ইতিমধ্যে বাসের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বাস সংগ্রহসহ আরও অন্যান্য কাজ গুলো সম্পূর্ণ হলেই ঢাকা-গাজীপুরের মধ্যে বিআরটি সেবা চালু করে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজ যথা সময়ে সম্পূর্ণ হলে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ এ করিডোরে পরিবহন সার্ভিস চালু করার আশাবাদী তিনি।