ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ফের বিএনপি জামায়াত সম্পর্ক: উদ্বিগ্ন বিদেশি কূটনীতিকরা

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফের বিএনপি জামায়াত সম্পর্ক: উদ্বিগ্ন বিদেশি কূটনীতিকরা

সংগৃহীত ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে আবার বিএনপি এবং জামায়াতের যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। এতে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ব্যাহত করবে বলে মনে করছেন বিদেশী কূটনীতিকরা।

২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের টানাপোড়ন লক্ষ্য করা যায়। সেই সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ দলীয় জোটও বিলুপ্ত হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পর জামায়াতের ইফতার পার্টিতে বিএনপির বেশির ভাগ নেতা উপস্থিত ছিল লক্ষ্যনীয়। ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের ঘনিষ্টতা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ আভাস দিচ্ছে। তবে জামায়াতের সাথে বিএনপির এই উষ্ণতা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির একাধিক নেতাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ একাধিক দেশের কূটনীতিকরা এ বিষয়ে কৌতুহল প্রকাশ করেছেন।

সূত্রমতে,জামায়াত ইসলামীকে একটি কট্টরপন্থী মৌলবাদী সংগঠন মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমারা। কারণ তাদের চিন্তাধারা  গণতান্ত্রিক রাজনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ জন্য ২০১৮ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন না করার জন্য বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু  বিএনপি সেই পরামর্শ খুব একটা কর্ণপাত করেনি। বরং বিভিন্ন সময়ে বিএনপি নেতারা জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।

যদিও ২০১৮ এর পর আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ দলীয় জোট বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের টানাপোড়েন হয়। সেই সময় জামায়াতের নেতারা ঘোষণা করেন যে, এখন বিএনপির সাথে তাদের সম্পর্ক নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবার বিএনপি এবং জামায়াতের যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। এতে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ব্যাহত করবে বলে মনে করছেন বিদেশী কূটনীতিকরা। কারণ  একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল কখনও একটি দক্ষিণপন্থী চরম উগ্রবাদী এবং মৌলবাদী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্য করতে পারে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের ইফতার পার্টিতে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের উপস্থিত ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে জামায়াত বিবৃতি দিয়েছে। ফলে স্পষ্ট হয়েছে যে, দুটি দলের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। এটি জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা বলেই মনে হচ্ছে।  সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের একাধিক বৈঠকেরও খবর পাওয়া গেছে। আর এটি ইইউসহ পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে বলে মনে করেন তারা।