ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই সরকার পতন হয়নি: শিবির সভাপতি

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই সরকার পতন হয়নি: শিবির সভাপতি

সংগৃহীত ছবি

‘আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতিতে নিতে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি দরকার, যা দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেননি বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।’

টানা ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। এর মধ্যে এক যুগেরও বেশি সময় কেটেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে গত দেড় বছর ছিল সরকার হটানোর নানা কর্মসূচি। তবে কোনো ফসলই ঘরে তুলতে পারেনি দলটি। স্বভাবতই জনমনে প্রশ্ন জাগে, দেশের অন্যতম প্রধান এই রাজনৈতিক দলের দেশব্যাপী এত সমর্থন-শক্তি থাকার পরও আন্দোলন কেন বিফল হলো? কেন সরকার পতনে তারা ব্যর্থ হলো?

সম্প্রতি এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। বেসরকারি একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোরালো আন্দোলনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু শুরু থেকেই ধীরগতি ছিল বিএনপির। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি দলটি। অথচ এ ধরনের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা থাকা বাঞ্ছনীয়।'

বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচির মূল্যায়ন ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মঞ্জুরুল বলেন, 'শুধুমাত্র লিফলেট বিতরণ বা মাইকে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে কোনো সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব নয়। এত সহজ হলে ছোট ছোট দলই সরকারকে গদিছাড়া করাতে পারতো। আসলে আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতিতে নিতে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি দরকার, যা দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেননি বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।'

বিশেষ করে আন্দোলন ব্যর্থ করতে সরকার যেসব ব্যবস্থা ও কৌশল নিয়েছিল, তা মোকাবিলায় পাল্টা কৌশল বা প্রস্তুতি ছিল না তাদের। উল্টো সরকারবিরোধী কর্মসূচির জন্য খোদ রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছ থেকেই বিএনপিকে অনুমতি নিতে হয়েছে বা হচ্ছে।সর্বোপরি  জনগণবিহীন আন্দোলন চালিয়ে সরকার পতনের আশা করা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। অর্থাৎ নিজেদের কারণেই দলটি ব্যর্থ হয়েছে বলেও মনে করছেন শিবিরের এই নেতা।