ঢাকা,  সোমবার  ০৬ মে ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ফরিদপুর মধুখালীতে দুই ভাই হত্যার প্রতিবাদ: বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির আলামত!

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফরিদপুর মধুখালীতে দুই ভাই হত্যার প্রতিবাদ: বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির আলামত!

সংগৃহীত ছবি

  • ফরিদপুরের মধুখালির ঘটনায় উত্তপ্ত সর্বত্র
  • চলমান বিক্ষোভের দাবির সবটুকই ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে
  • বাকি শুধু আদালতে বিচার প্রক্রিয়া, যা নিয়ম মাফিক শুরু হবে
  • এরপরও কি চায় বিক্ষোভকারারা 
  •  মিছিলে সরকার পতনের স্লোগান কেন?

ফরিদপুর মধুখালীতে দুই ভাই আশরাফুল খান ও আরসাদুল খানকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ২৩ এপ্রিল ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরাতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ছররা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়লে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

মধুখালীর দুই ভাই হত্যাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে একটি মহল। পুলিশের গুলিতে ২ জন নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে গুজব। অথচ এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। একজন ভ্যানচালক বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে আহত হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। কিন্তু ইতোমধ্যে তার মিথ্যে মৃত্যুর খবর তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, এই হত্যার ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। জড়িতাদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। দুই আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার মূল হোতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। 

কিন্তু সর্বোচ্চ দ্রুত সময়ে যা করণীয় সবকিছু করার পরও কারা কি উদ্দ্যেশ্যে ফের বিক্ষোভের আয়োজন করে পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করতে চাইছে? তাদের দাবিই বা কি? কি করার বাকি ছিল সরকারের? তারা কি চাইছে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের তাদের হাতে তুলে দিয়ে হত্যা করতে দেয়া?

অথচ তারা চলমান বিক্ষোভ থেকে যে দাবি জানিয়েছে তার সবটুকই ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি শুধু আদালতে বিচার প্রক্রিয়া, যা নিয়মমাফিক শুরু হবে শীঘ্রই। এরপরও কি চায় এরা? এদের মিছিলে সরকার পতনের স্লোগানই বা কেন?

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল দুঃখজনক, বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনাকে সম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক রূপ দিয়ে দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছে। সরকারের তড়িৎ ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটায়।ফলে দুঃখজনক হত্যার প্রতিবাদকে বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির আলামত হিসেবে দেখছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা।