‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রে শুরু হয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষার দিন ভর্তিচ্ছুদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রোববার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১০টি ভবনে ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সহায়তার উদ্দেশ্য রোববার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিত স্থায়ী তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনকরণ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদানে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের তত্ত্বাবধানে 'মেডিকেল ক্যাম্প’ পরিচালনা, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিচিতির জন্য সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত, কলমসহ আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে বহনে অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
স্থায়ী তথ্যকেন্দ্র থেকে সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান, উপ-দফতর সম্পাদক সজিবুর রহমান, উপ-ত্রান ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান আহমেদ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য আশরাফ কামাল আরিফ, উপ-গন যোগাগোগ বিষয়ক সম্পাদক ফারহান রুবেল, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সীমান্ত, কার্যনর্বিহী সদস্য মাহবুবুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেন, তারেক হালিমী প্রমুখ।
তারা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মতো গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদেরও সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করে যাচ্ছে। অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষা দিনগুলোতেও এই সার্ভিস অব্যাহত থাকবে বলে জানান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ‘ক’ ইউনিটে পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ৭১০ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া ২৪ অক্টোবর ‘খ’ ইউনিটে ১ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১ নভেম্বর ‘গ’ ইউনিটে ৮৬৭ জন শিক্ষার্থী শাবিপ্রবির কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে।
গাজীপুর কথা
