ঢাকা,  সোমবার  ১৭ জুন ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুর সিটির বর্ষপূর্তি

পরিকল্পিত নগর গড়তে বরাদ্দ চাইলেন নগর উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত: ০০:১৭, ২৬ মে ২০২৪

পরিকল্পিত নগর গড়তে বরাদ্দ চাইলেন নগর উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

ফাইল ছবি

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, নানা ষড়যন্ত্রের কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গাজীপুর সিটিতে কোন বরাদ্দ আসেনি। যদি কোন দোষ করে থাকি আমরা করেছি। শহরবাসী কোন দোষ করেনি। পরিণতি তো সবাইকে ভোগ করতে হচ্ছে। আগামী অর্থবছর আমরা একটা কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে নিচ্ছি।

সরকারের কাছে বরাদ্দ চাচ্ছি, কিভাবে পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলা যায়। যারা অন্যান্য জনপ্রতিনিধি আছেন, তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। এই নগর সবার। নিজস্ব কোন রাগ-ক্ষোভ না রেখে সবাই যেন নগর উন্নয়নের সহযোগিতা করেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বর্তমান মেয়াদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গণমাধ্যমে সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেছেন।

এসময় সিটি মেয়র জায়েদা খাতুন বলেন, জনগণ আমার ছেলের কাজ দেখে উন্নয়ন দেখে, ছেলের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে, আমার প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে, আমাকে নির্বাচিত করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের যে কাজগুলো আছে, সেই কাজগুলো আগামী পাঁচ বছরে যেন গুছিয়ে করে দিতে পারি, সেটাই এখন আশা করছি। পরে নগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গণকবরস্থানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার মা জায়েদা খাতুনকে আপনারা না দেখেই ভোট দিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ ভোট দিয়েছেন।

কোন পাওয়ার সেই ভোট সরাতে পারেনি। আজকের দিনে সেই নির্বাচনের এক বছর। অনেক অন্যায়কারী, অনেক প্রতারকরা চেষ্টা করেছে, আল্লাহ আমার মাকে এখানে উসিলা হিসেবে রেখেছেন। আমার মায়ের এজেন্ট ছিল না, ব্যানার- পোস্টার কিছুই ছিল না, সেখানেও লক্ষ লক্ষ ভোট হয়েছে। আল্লাহ আমার মাকে উসিলা হিসেবে রেখেছেন, শহরবাসী যাতে ভালো থাকেন। আমি তার সন্তান হিসেবে এখানে এসেছি, শহরবাসীর সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য। নগরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে গণকবরস্থান করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে নগদ অর্থে জায়গা কিনে নেয়া হবে। নগদ টাকা দিয়ে দলিল করে কবরস্থানের জন্য নিতে চাই। কবরের চারপাশে গাছ লাগিয়ে, ফুলের বাগান করে দিতে চাই, পাশে একটি মসজিদ মাদ্রাসা করে দিতে চাই। এই কবরস্থান শুধু আমার দলের না, সবার। এইজন্য সবার সার্বিক সহযোগিতা চাই। রাস্তাঘাটসহ নগরবাসীর সার্বিক উন্নয়ন করতে চাই। এর আগে আমি নগরের দায়িত্বে থাকাকালীন রাস্তা-ঘাট করে দিয়েছি। কাজটা শুরু করেছিলাম। কিছু হায়েনারা করতে দেয়নি।

রাস্তাঘাট যেখানে যা দরকার আমরা সেগুলো করে দিতে চাই। এর জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা চাই। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন শেষ বছরে ২১ হাজার টাকা বাজেট দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপরে যারা ছিলেন তারা ২১ টাকা ও আনতে পারেননি। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল কাদের মন্ডল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান শিপু, খোরশেদ আলম সরকার, শ্রমিকলীগ নেতা কবির মন্ডলসহ তানিয়া নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সিটি নির্বাচনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে নগরের ছয়দানা এলাকার মেয়র ভবনে নগরের প্যানেল মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নিয়ে মিলন মেলা ও ভোজের আয়োজন করা হয়। গত বছরের এই দিনে আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র হিসেবে বিজয়ী হন জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। সাবেক মেয়র ও সিটি কর্পোরেশনের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম আইনি মারপ্যাঁচে পড়ে নির্বাচন করতে না পারলেও তাঁর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে নগরবাসী গত নির্বাচনে আস্থা রাখে তার মা জায়েদা খাতুনের প্রতি।