ঢাকা,  সোমবার  ১৭ জুন ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরের পরিবেশ সুরক্ষায় নাগরিক সংলাপ

প্রকাশিত: ২১:২৭, ২৪ মে ২০২৪

গাজীপুরের পরিবেশ সুরক্ষায় নাগরিক সংলাপ

সংগৃহিত ছবি

গাজীপুর জেলার পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক নাগরিক সংলাপ করেছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। এর আয়োজন করে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার রুমে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান।

পরিবেশ সুরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ এ সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জমান মজুমদার। মূল প্রবন্ধে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, দৃষ্টিদূষণসহ পরিবেশ নানাবিধ অসংগতি নিয়ে তার গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন তিনি।

অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ক্যাপসের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার গড় অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা২.৫ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১০২.৪১ মাইক্রোগ্রাম, যা দৈনিক আদর্শ মানের চেয়ে প্রায় ১.৫৭ গুণ বেশি। পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ৬৪ জেলার মধ্যে গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি দূষণ পরিলক্ষিত হয়, যার মান ছিল প্রতি ঘনমিটারে ২৬৩.৫১ মাইক্রোগ্রাম। গাজীপুর জেলা শহরের শব্দমান জরিপ ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, দিনের বেলায় সর্বোচ্চ শব্দমান (Leq) ৮০ দশমিক ৫ ডেসিবেল পাওয়া গেছে আজিমুদ্দিন কলেজের সামনে। সবাই মিলে দূষণ প্রতিরোধ করতে হবে এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আরবান প্রোগ্রামের ক্যাম্পেইন কোঅরডিনেটর মীর রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের টঙ্গী আরবান প্রোগ্রামের ম্যানেজার জনাব মানস বিশ্বাস। তিনি শিশুদের জন্য পরিবেশ দূষণ কমিয়ে বাসযোগ্য করার জন্য সুশীল সমাজ ও গবেষকদের প্রতি আহবান জানান।

এ নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন মাহমুদা আখতার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিল সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্রছাত্রী, পরিবেশকর্মীসহ অন্যান্য অংশগ্রহণকারী।

অনুষ্ঠান শেষে শিশুদের জন্য পরিবেশ সুরক্ষা, বায়ু, পানি, শব্দ দূষণ কমাতে সবাই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে শপথ গ্রহণ করেন।