ঢাকা,  মঙ্গলবার  ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কোরানের আলোকে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর পরিচয় ও দায়িত্ব

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

কোরানের আলোকে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর পরিচয় ও দায়িত্ব

কোরানের আলোকে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর পরিচয় ও দায়িত্ব

পবিত্র কোরআন এবং বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি বাদে আরেকটির চিন্তা অকল্পনীয়। পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.) এর পরিচয় ও দায়িত্ব নিয়ে বেশ কিছু সূরার আয়াত নাজিল হয়েছে। যেমন-

> ৭২/২৩: বলুন: আল্লাহর পক্ষ থেকে তার রিসালাত (পয়গাম/বাণী/বার্তা/মেসেজ) কেবল পৌঁছে দেওয়া (মানুষের নিকট) আমার দায়িত্ব।

> ১৮/১১০: বল: আমি তো তোমাদেরই মতো একজন মানুষ, আমার প্রতি ওহি প্রেরিত হয় যে, তোমাদের মাবুদ তো একই মাবুদ। সুতরাং.....।

> ৩/১৪৪: মুহাম্মাদ (সা.) তো একজন রাসূল (বাণী বাহক) ছাড়া কিছু নয়, তার পূর্বেও অনেক রাসূল গত হয়েছেন।

> ৪/১৬৫: সকল রাসূলই ছিলেন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী।

> ৮৮/২১-২২: তুমি উপদেশ দিতে থাকো, তুমি কেবল একজন উপদেশ দাতা। তুমি তাদের দায়গ্রস্ত কর্ম নিয়ন্ত্রণকারী নও।

> ৭৯/৪৫: তুমি তো কেবল কেয়ামতের ভয় প্রদর্শনকারী যে একে ভয় করে।

> ১৬/৩৫: রাসূলদের কর্তব্য তো কেবল স্পষ্ট বাণী প্রচার করা।

> ১৬/৮২: তোমার কাজ তো শুধু সুস্পষ্টভাবে বাণী পৌঁছে দেওয়া।

> ২৭/৯২: বলো, আমি তো কেবল একজন সতর্ককারী মাত্র। (২৯/৫০)।

> ৭২/২৩: বলো: কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকে তার রিসালাত (পয়গাম) পৌঁছানো ও প্রচার করাই আমার কাজ/দায়িত্ব।

> ২৫/৫৬: আমি তো তোমাকে প্রেরণ করেছি কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রুপেই।

> ৩৩/৪৫ ও ৩৩/৪৬: হে নবী! আমি তো তোমাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীরুপে, সুসংবাদদাতারুপে ও সতর্ককারীরুপে। এবং আল্লাহর আদেশে তার দিকে আহবানকারীরুপে ও দীপ্তিমান প্রদীপরুপে।

> ৫/৬৭: হে রাসূল! তুমি পৌঁছে দাও যা তোমার প্রতি তোমার রবের তরফ থেকে নাজিল করা হয়েছে তা, আর যদি তা না কর তবে তো তার পয়গাম পৌঁছালে না।

> ৫/৯২: আমার রাসূলের দায়িত্ব তো শুধু স্পষ্ট প্রচার করা।

> ৫/৯৯: রাসূলের দায়িত্ব তো শুধু প্রচার করা।

> ৬/৪৮: আর আমি রাসূলদেরকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবেই প্রেরণ করি।

> ৬/৬৬: আপনি বলে দিন: আমি তোমাদের উপর কার্যনির্বাহক/তত্ত্বাবধায়ক নই।

> ৬/১০৭: আমি আপনাকে তাদের উপর পর্যবেক্ষকও করিনি এবং আপনি তাদের কার্যনির্বাহকও নন।

> ৫০/৪৫: হে রাসূল! আপনি তাদের উপর বল প্রয়োগকারী নন। অতএব, আপনি কোরানের সাহায্যে তাকে উপদেশ দিতে থাকুন, যে আমার আজাবের সতর্কবাণীকে ভয় করে।

> ১১/২: তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করবে না। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য তার তরফ থেকে সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা।

> ১৩/৪০:....তোমার কাজ তো কেবল পৌঁছানো আর হিসাব নেয়া আমার কাজ।

> ১৬/৩৫ ও ৪২/৪৮:.... রাসূলদের দায়িত্ব তো শুধু সুস্পষ্ট বাণী পৌঁছে দেওয়া। এবং আপনাকে আমি তাদের রক্ষক করে পাঠাইনি। আপনার কর্তব্য কেবল প্রচার করা।

> ২৪/৫৪: বলো: তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর এবং আনুগত্য কর রাসূলের। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে রাসূলের উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্য সে দায়ী এবং তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরা দায়ী। আর যদি তোমরা তার আনুগত্য কর তবে সৎ পথ পাবে। আর রাসূলের কাজ তো কেবল স্পস্টরুপে বাণী পৌঁছে দেওয়া।

> ৬৪/১২: তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর এবং আনুগত্য কর রাসূলের। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে আমার রাসূলের দায়িত্ব কেবল স্পষ্টভাবে (বাণী) পৌঁছে দেওয়া।

> তুমি সতর্ক কর এ কোরআন দিয়ে তাদেরকে যারা ভয় করে যে,তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের নিকট সমবেত করা হবে....। [৬/৫১, ৬/৭০, ৬/৯২,৬/১০৬, ৭/৩, ২৬/১৯২-১৯৬,২১/৪৫,৫০/৪৫]।

> ৮৭/৯: তুমি উপদেশ দিতে থাকো।

> ২৮/৫৬: (হে নবী!) নিশ্চয়ই যাকে তুমি ভালোবাস, (ইচ্ছা করলেই) তাকে তুমি সঠিক পথ দেখাতে পারবে না; আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন সঠিক পথ প্রদর্শন করে।

লেখক- নিয়ামুল ফাতেমী। (তার ফেসবুক পোস্ট হতে)