ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পূবাইলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা

প্রকাশিত: ১৬:৪৭, ৬ মে ২০২২

পূবাইলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পূবাইল মেট্রোপলিটন থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিম শান্তা (২০) ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে স্বামী রায়হান ভূঁইয়াকে প্রধান আসামিসহ ৫ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে শান্তর মায়ের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য শান্তাকে হত্যার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। দুই লাখ টাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না আমার মেয়ের- এ কথা বলেই বিলাপ করতে থাকেন শান্তার মা।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে পূবাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান আতিক জানান, শান্তার স্বামী রায়হানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রধান আসামির বাবা হজরত ভূঁইয়া, সহোদর ভাই রিফাত, রফিক ও বোন শারমিন ইয়াসমিন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্রো থানার ৪২নং ওয়ার্ডের বিন্দান টেকপাড়া এলাকায় শান্তা ইসলাম নামে এক গৃহবধূ ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শান্তা ইসলাম গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জের বান্দাখোলার রফিকুল ইসলামের মেয়ে। ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থা থেকে তার স্বামী রায়হান লাশ নামালে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেন।
জানা যায়, ছয় মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্কে পূবাইল থানা এলাকার বিন্দানটেকপাড়ার হযরত ভূঁইয়া ওরফে চায়না মিস্ত্রির ছেলে রায়হান ভূঁইয়ার (২৪) সঙ্গে শান্তার বিয়ে হয়।
শান্তার মা জানান, বিয়ের পর হতে কোনোদিন আমার মেয়েকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এক মিনিটের জন্যও শান্তি দেয়নি। যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিত। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আমি দুই লাখ টাকা দেই। তারপরও শেষ রক্ষা হলো না আমার মেয়ের। শান্তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে প্রচার করলেও তাদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করছেন তিনি।

গাজীপুর কথা