একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে গাজীপুরের টঙ্গীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।
শনিবার দুপুরে টঙ্গীর কাঁঠালদিয়া এলাকায় তার নিজ বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘যুবলীগের সাইফুল অপরাধে মশগুল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ১৯৯৪ সাল থেকে রাজনীতির মাঠে সব আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম ও আছি। একটি মহল আমার কর্মকাণ্ড ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়পতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বানোয়াট ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। সেখানে এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে আমাকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি কোনোদিন একটি সিগারেটও খাইনি। মাদকের সঙ্গে আমি যদি জড়িত থাকতাম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো।
প্রকাশিত সংবাদে টঙ্গী ও উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমার যেই সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার কোনো সত্যতা নেই বলে দাবি করেন যুবলীগের এ নেতা।
‘গাজীপুরের শ্রীপুরে রিসোর্টের নামে যে সম্পদের কথা বলা হয়েছে, তা বেশির ভাগই আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। এছাড়া দলীয় পদ বাণিজ্য, জমি দখল বা ঝুট ব্যবসার সঙ্গে আমি জড়িত নই।’
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১০০ ঘর নির্মাণ ও গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প হাতে নিয়েছি; যা এখনো চলমান। এসব কারণে সাধারণ মানুষ আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চায়।
তিনি বলেন, টঙ্গী ও গাজীপুরে কারা দুষ্ট লোকদের প্রশ্রয় দেন, তা সবাই জানেন। কারা নিজেদের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে ‘কালো রাজনীতি’ করেন গাজীপুরবাসী তাও জানেন। আসুন আমরা অন্যের সমালোচনা না করে, অন্যের ক্ষতির চিন্তা না করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করি। দেশের ও দলের ক্ষতি না করে আসুন দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের বাবা ওয়াজউদ্দিন, যুবলীগ নেতা মঞ্জুর রনি, ইসমাইল হোসেন, মো. ফজল করিম, শরিফুল ইসলাম বাধন, রফিকুল ইসলাম, আল-আমীন, রাশেদ, জহিরুল ইসলাম ও সানিসহ টঙ্গী ও গাজীপুরের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
গাজীপুর কথা